জেনে নিন শরীরের জন্য উপকারী কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর ফল। এটি কাঁচা ও পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা কলা রান্না করে খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা সবজি হিসেবেই পরিচিত। এটি সহজলভ্য একটি সবজি। বার মাসই কম বেশি বাজারে পাওয়া যায়।

 

 

এই কাঁচা কলার গুণ কিন্তু অনেক। দেহের পুষ্টি জোগান দেয় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। চিকিৎসকরাও অনেক সময় কাঁচা কলা খাবার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কেন বলেন, কি আছে এর ভেতর? কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট।

 

 

এতে কার্বোহাইড্রেট কমপ্লেক্স স্টার্চ হিসেবে থাকে। কাঁচা কলার ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এই জন্য রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচা কলা বেশ পরিচিত।

 

 

জেনে নেই কাঁচা কলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ :

১, ওজন হ্রাস করে:

কাঁচা কলার ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে তাই ক্যালরি বহুল অন্য খাবার থেকে বিরত থাকা যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচা কলা। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ বার্ন করতে বা কাটতেও সাহায্য করে।

 

 

২, শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে:

কাঁচা কলা আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

 

 

৩, হজমে সাহায্য করে:

কাঁচা কলা পেটের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজমযোগ্য। তাছাড়া কাঁচা কলায় থাকা এনজাইম ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে।

 

 

৪, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়াম হৃদরোগে উপকারী। তাই নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

 

 

৫, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

কাঁচা কলা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলনকে সুস্থ রাখে। দীর্ঘমেয়াদী কোলন সংক্রান্ত রোগ দূর করতে কাঁচা কলা বেশ কার্যকরী।

 

 

এছাড়া কাঁচকলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। শরীরের জন্য অতি উপকারি এই সবজিটি রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার