বগুড়ায় ভেড়া পালনে লাখপতি হয়েছেন শিক্ষার্থী বিশাল চন্দ্র দাস। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ছোট বেলা থেকে ভেড়া পালন করে তিনি জমিয়েছে ২ লাখ টাকা। এখনও তার ভেড়া রয়েছে ১৩ টি।
বিশাল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের দেশে ভেড়া পালন বেশ লাভজনক। একটি ভেড়া ৭ থেকে ৮ মাস পালন করে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। লেখা পড়ার চাপ থাকায় খামারের ভেড়া কমিয়ে দেয়ার পরও আমার খামারে এখনও ১৩ টি ভেড়া রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি এখন নিজেই স্বাবলম্বী।
খোট্টাপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। অসুস্থতার কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এক বছর বেকার থাকার পর শুরু করেন ভেড়া পালন।এখন তিনিও বড় একটি খামারের মালিক।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ছাগল ও গরু পালনের চেয়ে ভেড়া পালন লাভজনক। ভেড়া সব ধরনের ঘাস ও লতা পাতা খায়। এ কারণে ভেড়ার জন্য বাড়তি খাবার প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও ভেড়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে না।
জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাস তালুকদার বলেন, ভেড়া পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। জেলার শাজাহানপুর ও ধুনট, শেরপুর,নন্দীগ্রাম ও আদমদীঘি উপজেলায় ছোট বড় অনেক ভেড়ার খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার