কালো জাতের মুরগি পালন করে মাসে আয় ৬০ হাজার টাকা

কাদাকনাথ নাম হলেও মূলত কালো মুরগি নামেই বেশি পরিচিত। এই মুরগিটি পাশের দেশ ভারতের মধ্যপ্রদেশ সহ সারাদেশে ব্যাপকভাবে লালন-পালন হয়ে থাকে। সম্প্রতি আমাদের দেশেও বাণিজ্যিকভাবে কালো মুরগির খামার গড়ে উঠছে।

 

 

এমনি একটি খামার গড়ে উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামে। ভারত থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে খামারটি গড়ে তুলেছেন শাহনাজ আক্তার নামের এক গৃহিণী। বর্তমানে কালো মুরগির খামার থেকে তিনি প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করছেন বলেও জানান।

 

 

জানা যায়, ভারত থেকে ২০০ কাদারনাথ মুরগির বাচ্চা এনে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পেলাইদ গ্রামে ২০০ কাদারনাথ মুরগির বাচ্চা ও শেড তৈরি্র মাধ্যমে খামাররের কার্যক্রম শুরু করেন শাহনাজ। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। পরবর্তীতে মুরগি পালনের খরচ বাদে তিনি ১০-১২ লাখ টাকার লাভ করেছেন। এছাড়াও তার মাসিক আয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।

 

 

শাহনাজ জানান, স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য মুরগির একটি জাত কাদাকনাথ বা কালো মুরগি। এই কাদাকনাথ মুরগিটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি হিসেবে বিবেচিত হয়। ভারতে এই মুরগি চাষ হলেও দাম, বাজারে চাহিদা ও স্বাদ পুষ্টিগুণে অনন্য হওয়ায় ইদানিং কালে দেশের অভ্যন্তরে এই জাতের মুরগি চাষে ঝুকে পড়ছে খামারিরা। কাদাকনাথ মুরগির প্রতিটি ডিম ৫৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, কাদাকনাথ মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি, পালনে ঝুঁকি কম। চিকিৎসা-ঔষধপত্রে খুব বেশি খরচ নেই। তাই অন্যান্য মুরগির চাইতে খরচ অনেকাংশে কম। তাই যেকেউ চাইলেই অধিক লাভবান হতে এই মুরগির খামার গড়ে তুলতে পারে।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান পলাশ বলেন,মাথার ঝুঁটি থেকে পা পর্যন্ত সব অঙ্গের রং কালো। এমনকি পালক, চামড়া, ঠোঁট, নখ, ঝুঁটি, জিভ, রক্ত, মাংস, হাড়ও কালো। এর মাংসে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, অল্প পরিমাণে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল থাকে। নতুন উদ্যোক্তাদের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার