বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সফল হয়েছেন পলাশ। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকা বাসিন্দা। করোনার সময় ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। দেরি না করে মার সাথে কথা বলে চারতলা বাসার ছাদে শুরু করেন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ।
জানা যায়, ছাদের দুই পাশে চার ফুট উঁচু করে মোট চারটি হাউজ করে ১৭ হাজার মাছের পোনা ছাড়েন পলাশ। সেখানে ছিল পুঁটি, কৈ, শিং, কার্প আর তেলাপিয়া। তারপর নিয়ম করে মাছকে খাবার দিতে থাকেন তিনি, আর এভাবেই বড় হতে থাকে মাছ। পলাশ চন্দ্র অবসরে বাবার স্বর্ণের ব্যবসাও দেখাশোনা করেন।
পলাশের মা বলেন, ছোট থেকেই পলাশের মাছ ধরার শখ ছিল। একদিন দেখি মাটিতে গর্ত করে বাজার থেকে আনা তাজা মাছ ছেড়ে মাছের মুভমেন্ট দেখছে। অনেক দিনই বলেছে মাছ চাষ করবে। তারপর এল করোনার থাবা। পলাশের ইচ্ছে আরো প্রখর হলো। তাই আর দেরি না করে বাড়ির ছাদে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে।
উপজেলার মৎস্য অফিসার আশরাফুল্লাহ জানান, আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি কেউ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে তবে সফল হওয়া সহজ। অনেকেই করে কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকায় ব্যর্থ হচ্ছেন। পলাশ আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল হয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ