ময়মনসিংহে মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে লাভবান হয়েছেন কামরুল হাসান। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকাকালীন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে এসে শুরু করেন মাচলিং পদ্ধতিতে সবজির চাষাবাদ।
এ পদ্ধতিতে সবজির ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হয়েছেন তিনি। এখন এলাকার অনেকেই তার কাছ থেকে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন।
জানা যায়, ভাগ্যান্বেষণে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান এসএসসি পাস কামরুল হাসান। এক চাচা সেদেশে ছিলেন আগে থেকে। তিনি পাইলিং স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। কামরুল গিয়ে কাজ নেন ইলেক্ট্রিক্যালের।
দুজনেরই আয়-রোজগার ছিল বেশ ভালো। করোনাভাইরাসের হানায় দেশে ফেরেন ১০ বছর পর। লাখ টাকার বেশি বেতন ছিল সেখানে। কিন্তু আর যেতে পারলেন না। চিন্তা করলেন দেশেই কিছু করতে হবে। বাপ-দাদা কৃষিজীবী।
তিনিও বেছে নিলেন কৃষিকাজ। তবে বিদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আনলেন আধুনিকতা। তাতেই সফল তিনি।
কৃষক কামরুল বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে বেড করার পর সার ও কীটনাশক অনেক কম লাগে। গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়, আর ফলনও আগাম পাওয়া যায়। সিঙ্গাপুরে ছিলাম ১০ বছর। সেখান থেকে আমরা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড গেছি।
তাদের কাছে এই পদ্ধতি আমরা দেখি। ওখান থেকে দেখে আমরা উৎসাহিত হই। করোনা শুরু হলে দেশে ফিরে এসে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদের চিন্তা মাথায় আসে।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কৃষি অফিসার তাহমিনা ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ৯৮৫ হেক্টর জমিতে এবার মাচলিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয়েছে। যারা একটু ইনোভেটিভ চাষি তারাই কেবল মালচিং করছেন। মালচিং পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার