তিন একর জমিতে বাঁশের মাচা সুতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ দুই লাখ টাকার মতো খরচ করে চলতি মৌসুমে ১৫ লাখ টাকার লাউ বিক্রি ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার মেগচামি ইউনিয়নের চার ভাই তাজউদ্দীন শেখ, বায়োজিদ শেখ, আবু সাঈদ শেখ ও আলমগীর শেখ। এছাড়াও মাচায় বর্তমানে যে পরিমাণ লাউ আছে তা বাজারে বিক্রি করলে আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
তাজউদ্দীন শেখ বলেন, আখ ও মরিচ চাষে লোকসান হওয়ায় গত দুই বছর ধরে লাউ চাষ শুরু করেছি। তিন একর জমিতে বাঁশের মাচা সুতা ও অন্যান্য খরচ বাবদ দুই লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আগামী বছর জমির পরিধি বাড়িয়ে চার একর জুড়ে লাউ চাষ করবেন।
লাউ চাষি আবু সাঈদ জানান, আমরা অল্প লাউ চাষ করতাম প্রথম দিকে। তবে হিসাব করে দেখতাম লাউ চাষে আখ ও মরিচ চাষের চেয়েও অনেক বেশি লাভ। এজন্য আমরা চার ভাই লাউ চাষে বেশি ঝুঁকেছি। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে লাউ চাষ করবো।
ছোট ভাই আলমগীর বলেন, সারা বছর জুড়ে লাউ চাষ করছি আমরা। আমার ভাতিজা টিটোন ও রাজু উন্নত জাতের লাউ চাষে আমাদের উদ্ভুদ্ধ করে এবং এ বছর আমরা অনেকটা লাভবান হয়েছি।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভির রহমান জানান, এই অঞ্চলে তারা লাউ চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই লাউ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ অঞ্চলে আগামী বছর লাউ চাষের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার