নতুন খামার করতে যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

নতুন খামার শুরুতেই যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরী সেগুলো ভালোভাবে জেনেই গরুর খামার শুরু করা উচিত। তা না হলে ডেইরি খামারে নানাবিধ অসুবিধাসহ লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসুন আজকে জেনে নিব নতুন খামার শুরুতেই যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরী সেই সম্পর্কে-

 

 

নতুন খামার শুরুতেই যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরীঃ

১। ভালো মানের গাভী ও বকনা দিয়ে শুরু করতে হবে। এতে গাভীর দুধ সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলে খামারের খাদ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ উঠবে। খামারের খরচ নিয়ে আলাদা চিন্তা করতে হবে না।

 

 

২। ছোট্ট পরিসরে শুরু করতে হবে। কারন যারা খামার সেক্টরে নতুন আসছে তারা অধিকাংশ কোটিপতি নয়।

 

 

৩। শেড করার জন্য শুরুতে বেশি টাকা নষ্ট না করে ছোট আকারে কম খরচে শেড করতে হবে। সময়ের ব্যবধানে শেড ও বড় করতে হবে তবে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।

 

 

৪। শুধু বকনা দিয়ে শুরু করলে খামারের খাদ্য খরচ সহ সকল প্রকার খরচ নিজের জমা টাকা ভেঙ্গে খরচ করতে হবে। তাই খামারে কিছু গাভীও পালন করতে হবে।

 

 

৫। বকনা সঠিক সময়ে হিটে আসতে চায় না। হিটে আসলে ও বীজ কনসেপ্ট করে না,একবার নয় একাধিক বার বীজ দিতে হয়। এতে নতুন খামারির খামারের প্রতি দেখা যায় মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

৬। বকনা দিয়ে শুরু করলে বকনা বাচ্চা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সমস্ত খরচ নিজের জমা টাকা থেকে খরচ করতে হয়।অনেক সময় দেখা যায় নতুন একজন খামারি এক সময় আর তাদের পিছনে খরচ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে খামার ছেড়ে দেয়।

 

 

৭। ষাঁড় গরু দিয়ে নতুন খামারি মোটাতাজা করনে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে। ভালো একটি উদ্যোগ। তবে কেউ ৩ মাস মেয়াদী কেউ বা ৬ মাস মেয়াদী হয়তো দীর্ঘ মেয়াদী।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার