মাদারীপুরে এলোভেরা চাষে সফল হয়েছেন সাগর হোসেন। পড়াশুনা ও চাকুরীর পাশাপাশি শখের বশেই এলোভেরা চাষ করছেন তিনি। বর্তমানে তার ছাদ বাগানে বড় আকারের অর্ধশতাধিক গাছ ও প্রায় শতাধিক চারা গাছ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেলের বোতলসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ও নানা ধরণের পরিত্যাক্ত পাত্রে লাগিয়েছেন এলোভেরা গাছ। তেমন কোন খরচ ছাড়াই এই বাগান দিনে দিনে বড় হচ্ছে। বর্তমানে তার বাগানে বড় আকারের অর্ধশতাধিক ও শতাধিক চারা গাছ আছে।
সাগর হোসেন বলেন, ২০২০ সালের শেষে দিকে মা পেট ব্যাথাসহ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন আমার একজন পরিচিত ডাক্তার বলেন মাকে এলোভেরার সরবত খাওয়াতে। তখন এলোভেরা বাজার থেকে কিনে এনে মাকে সরবত খাওয়াতাম। কখনও কখনও বাজারে এলোভেরা পাওয়া যেতো না। তাছাড়া প্রতিদিন কিনতে সমস্যায়ও পড়তে হতো। সে সময় আমার চাচার পরামর্শে ও তার দিকনিদের্শনায় ২টি গাছ দিয়ে এলোভেরা লাগানো শুরু করি।
তিনি বলেন, আমার পড়াশুনা ও চাকুরী করার জন্য অনেক সময় গাছের যত্ন নিতে পারি না। সে ক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই রায়হান সজল ও সোহান এবং বোন হুমায়রা জান্নাত শোভা এলোভেরা গাছের যত্ন নেন। বড় গাছের পাশ দিয়ে নতুন চারা হয়। তখন সেই চারাগুলো তারা বিভিন্ন টপে রোপণ করেন। মাত্র ২ টি গাছ নিয়ে ছাদ বাগান শুরু করলেও এখন আমার বাগানে অর্ধশতাধিক বড় গাছ ও শতাধিক চারা গাছ আছে।
মাদারীপুর পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অভ নেচারের প্রতিষ্ঠাতা রাজন মাহমুদ জানান, সাগরের এই ছাদ বাগান দেখে অনেকেই উৎসাহ পাবেন। এলোভেরা সৌন্দর্যের পাশাপাশি একটি ঔষুধি গাছ। এই গাছের অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া যে কেউ চাইলে এলোভেরা চাষ করে তা বিক্রি করে আয়ও করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার