পাবদা চাষে প্রবাসী বেনজিরের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বেনজির খুলনা জেলার ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে পাবদা মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। আর এতেই সফলতার দেখা পান তিনি। গত ২৩ অক্টোবর এক দিনেই ১৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন তিনি। তাঁর পুকুরে এখনো প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে।
জানা যায়, পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ৬ বছর আগে উচ্চমাধ্যমিক পাসের পরপরই মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বেনজির। সেখানে মাস শেষে ২০ হাজার টাকা পকেটে থাকত তার। কিন্তু বিদেশের মাটিতে মন টিকছিল বলে ফিরে এলেন দেশে। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পার করে অবশেষে দেশীয় পাবদা মাছের চাষ শুরু করেন। এতেই সাফল্যের দেখা পেয়েছেন তিনি।
বেনজির বলেন, আমার অন্য দুই ভাইও মাছ চাষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। আমার পুকুরের আয়তন প্রায় ৭০০ শতক। সরকারি ঐ জলাশয় বছরে প্রায় ৪ লাখ টাকায় আমি পাঁচ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। সাথে আমার একজন স্বজনও ছিল। তার আগে থেকেই পাবদা চাষের অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের মৎস্য খামারে ৪ জন স্থায়ী কর্মী আছেন। ভবিষ্যতে আমাদের এই মাছ চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা মৎস্য বিভাগে যোগাযোগ করলে তাঁরা আমাকে পাবদা চাষের পরামর্শ এবং সেই মোতাবেক ৪ দিনের প্রশিক্ষণও দেন তারা। মৎস্য দপ্তরের পরামর্শে পাবদার সঙ্গে নানা প্রজাতির কার্পও চাষ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৬ মাসে ২২ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ১ দিনেই ১৭ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। আরও ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
ডুমুরিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, তার সাথে একজন স্বজন ছিল, যাঁর আগে পাবদা চাষের অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা তাকে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার