যশোরে আধুনিক পদ্ধতিতে শিং মাছ চাষে তিন বন্ধু সাফল্য পেয়েছে। জেলার শার্শা উপজেলায় তিন বন্ধু আধুনিক পদ্ধতিতে দেশীয় শিং মাছের চাষ করছেন সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের মাছ চাষের সফলতা দেখে এখন অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাদের কাছ থেকে মাছ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকেই।
জানা যায়, আব্দুর রশিদ ও তার দুই বন্ধুর সহযোগিতায় তিন বন্ধু প্রথমে ১৫ কাঠার জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে পুকুর তৈরি করে মাছের রেনু পোনা ছাড়েন।
এরপর কিছু দিনের মধ্যেই তারা মাছের জন্য খাদ্য তৈরি করার পরিকল্পনা করে খাবার তৈরি করা মেশিন বানিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেশিন দ্বারা বয়লার ও পোল্ট্রি মুরগির নাড়ী, কেচো, শামুক, লবণ, খৈল, চিটা গুড় ও মধুর সংমিশ্রণে তৈরি করেন হাইপ্রোটিন জাতীয় মাছের খাদ্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩২ শতাংশের পুকুরে শতাংশ প্রতি চার গ্রাম ওজনের শিং মাছের পাঁচ হাজার পোনা মজুদ করেছেন তারা। দিনে দুইবার (সকাল ও রাতে) মাছের খাদ্য প্রয়োগ করেন। পুকুরের ভেতরে মাছের বিষ্ঠা পরিষ্কার করার জন্য রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন।
সারাদিনের মাছের বিষ্ঠাগুলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানি থেকে তুলে ফেলা হয় এবং তা আবার ব্যবহার হয় জৈব সার হিসাবে। এই জৈব সার দিয়ে মাছের খামারের পাশে বিভিন্ন সবজির চাষও করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে শিং মাছ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন শার্শার তিন বন্ধু।
মাছ চাষি আব্দুর রশিদ বলেন, শিং মাছ দুই থেকে তিন মাস পর পরিচর্যার ত্রুটির কারণে লেজ বাঁকিয়ে যায়। যে কারণে মাছের গ্রোথ আসে না। শিং মাছের চাষ যেই করুক না কেন পরিচর্যা না জানার কারণে সেই চাষি কখনই সফল হবে না। শার্শা মৎস অফিস থেকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের সিং মাছ চাষ দেখে গেছেন এবং আমাদের কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান,তাদের মাছ চাষ দেখতে আমি নিজে কয়েকবার গিয়েছি। এ সময় শিং মাছ চাষের কারিগরি বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার