বাক্স পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষে সাঈদের বাজিমাত

বাড়ির ছাদে বাক্স পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুন্দরঘোড়া গ্রামের আবু সাঈদ। ঝিঙে ছাড়াও বাড়ীর ছাদে চাষ করেছেন বিভিন্ন ধরনের সবজি। তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই বাক্স পদ্ধতিতে জিঙে চাষে ঝুঁকে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন সাঈদ।

 

 

জানা যায়, বাসার ছাদ পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে না রেখে সবজি চাষ শুরু করেন আরও বছর দুয়েক আগ থেকে। সম্প্রতি মাস খানেক আগে বাক্স পদ্ধতিতে ঝিঙে চাষ শুরু করেন। মাত্র একমাসের ব্যবধানে মাত্র ৩৫ টি গাছ থেকে প্রায় ৩৫ মণ ঝিঙে পেয়েছেন। প্রতি কেজি ঝিঙে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সাঈদ।

 

 

আবু সাঈদ বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ছাদ থেকে অন্তত দেড় ফুট উঁচুতে জৈব সার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করি। সেখানে ৩৫টি ঝিঙে বীজ রোপণ করেছি। মাত্র এক মাসেই ছাদ বাগান থেকে দেড় মণ ঝিঙে পেয়েছি। দেড় মণ ঝিঙে থেকে ৩০ কেজি আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়েছি। বাকি ৩০ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। পরের বার ঝিঙের চাষ আরও সম্প্রসারণ করবেন বলেও তিনি জানান।

 

 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন জানান, প্রবাসী আবু সাঈদ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তার উৎসাহের কারণে উন্নত জাতের ঝিঙের বীজ দেই। তিনি আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন। ঝিঙ্গের চমৎকার ফলন হয়। এই এলাকায় যাদের বাসায় ছাদ রয়েছে তারা এখন বাক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে পরিবারের ভিটামিনের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বাজারে বিক্রি করে অর্থসংস্থানও হচ্ছে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার