জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ, জানুন কিভাবে শুরু করবেন

ভোলায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ। কম পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় ভাসমান এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে জেলায় বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি মাছ উৎপাদনেও ভূমিকা রাখছে। ফলে দিন দিন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

স্থানীয়রা জানান, এক বছরে খাঁচায় দুইবার মাছ চাষ করা যায়। প্রত্যেকটি খাঁচায় বছরে ২৮-৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন। খাঁচায় মনোসেক্স তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, সরপুঁটি ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ করছেন তারা। এতে যাদের পুকুর নেই তারাও মাছ চাষে স্বাবলম্বী হতে পারছেন।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা জেলা সদরের চর সেমাইয়া, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া, ধনিয়াসহ সাত উপজেলার নদী ও খালের মুক্ত জলাশয়ে প্রায় ১ হাজার ভূমিহীনসহ বিভিন্ন মৎস্যজীবী খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে জিআই পাইপ, ড্রাম, নেট দিয়ে তৈরি করেন খাঁচা। আর প্রতিটি খাঁচা তৈরিতে খরচ প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। প্রতিটি খাঁচায় সর্ব্বোচ ১ হাজারের মত মাছ চাষ করা যায়।

 

 

মাছ চাষি আকতার হোসেন বলেন, আমি ও আরেকজন মিলে প্রায় ৪ বছর আগে শান্তিহাট নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করি। আমাদের লাভবান হওয়া দেখে বর্তমানে এলাকার ১০০-১৫০ জন খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেছেন। সঠিক নিয়মে চাষ করায় প্রায় সকলেই লাভবান হয়েছেন। আগামীতে খাঁচায় মাছ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

 

 

আইয়ুব আলী জানান, তার এলাকার অনেক লোক খাঁচায় মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এজন্য তিনিও আগামী বছর থেকে খাঁচায় মাছ চাষ করার জন্য প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ করে জিআই পাইপ, ড্রাম, নেট দিয়ে তৈরি খাঁচা তৈরি করছেন। তিনিও খাঁচায় মাছ চাষে লাভবান হতে পারবেন বলে ধারণা করছেন।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার