হাঁস পালনে ব্যাপ সফলতা পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলাম। বর্তমানে এই খামার থেকে হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকা আয় করেন বলে জানিয়েছেন আমিরুল। আমিরুলের এমন সাফল্যে এলাকার অনেকেই এখন হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জানা যায়, প্রথমে ৩০ টাকা দরে একদিন বয়সের ৩০০টি হাঁস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন এই খামারি। কার্তিক মাস থেকে হাঁসের পাড়া ডিম বিক্রি শুরু হয়। বৈশাখ মাস পর্যন্ত ডিম বিক্রি করে প্রথম বছরেই ভালো লাভ করেন তিনি। এতে আর পেছনে তাকাতে হয়নি আমিরুলকে।
আমিরুল বলেন, বর্তমানে খামারে ৭০০টি হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন ডিম পাড়ে ৫০০টি। প্রতি শতক ডিম ১১০০ টাকা (৪৪ টাকা প্রতি হালি) দরে খামার থেকেই কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। গড়ে প্রতিদিন ৫০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ টাকায়। ওই ডিম বিক্রি থেকে তার প্রতি মাসে উপার্জন এখন ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, বৈশাখ মাসের পর হাঁস ডিম পাড়া ছাড়লে তখন সেই হাঁস ৪০০-৪৫০ টাকা করে বিক্রি করে দেই। হাঁস পালনে আমি দেশীয় পদ্ধতি বেছে নিয়েছি। খাবারে-দেশি শামুক, ধান, গমের পাশাপাশি অন্য খাবারও দিচ্ছি। সঠিকভাবে শ্রম দিলে হাঁস পালনে বিদেশি টাকার চেয়েও বেশি উপার্জন করা সম্ভব বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমিরুলের খামারটি পরিদর্শন করেছি এটি বেশ বড় ও পরিপাটি। আমরা বিভিন্ন পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করে সহযোগিতা করছি। ভবিষ্যতে এ প্রকল্পে সরকারিভাবে ঋণের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার