এবার আজওয়া খেজুরের বাগান হবে বাংলাদেশে

সৌদি আরবের সবচেয়ে বিখ্যাত আজওয়া খেজুরের চারা উৎপাদন হচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে। এ এলাকার মোস্তাক আহমেদ লাবলু নামের এক যুবক চারা উৎপাদনে সফল হয়েছেন।

 

 

গত এক বছর চেষ্টার পর ১৩০টি খেজুরের চারা তৈরি করে বাগান করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হাদিসে আজওয়া খেজুরের কথা জেনে নিজ উদ্যোগেই তিনি চারা উৎপাদনে উৎসাহিত হন। এর আগে ময়মনসিংহে এক কৃষক প্রথম আজওয়া খেজুরের চারা উৎপাদন করে বাগান করেন।

 

 

ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা মোস্তাক আহমেদ জানান, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কৃষি অনুষ্ঠান দেখে এবং ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে আজওয়া খেজুরের ঐতিহাসিক কাহিনী জানতে পারেন। দেশের বিভিন্ন কৃষি ফার্মে তিনি এ খেজুরের চারার খোঁজ করেছেন, কিন্তু পাননি।

 

সর্বশেষ ময়মনসিংহের একজন কৃষককের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরে সিদ্ধান্ত নেন আজওয়া খেজুরের চারা তিনি নিজেই উৎপাদন করবেন। ২০১৭ সালের দিকে সৌদি আরবে বসবাসরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ২৫টি বীজ সংগ্রহ করেন লাবলু।

 

 

প্রথম পর্যায়ে সেই বীজ থেকে ১৯টি চারা উৎপাদিত হলেও সর্বশেষ টিকে যায় ১২টি চারা। এরপর ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সৌদি আরব থেকে বেশকিছু আজওয়া খেজুরের বীজ সংগ্রহ করেন। সেখান থেকে তিনি ১০০টির মতো চারা উৎপাদন করেন।

 

 

সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ১৩০টি চারা উৎপাদন করেন। উপজেলার চাচড়া মাঠে ‘মোস্তাক অ্যান্ড মোস্তাফিজ আজওয়া খেজুর বাগান প্রজেক্ট’ নামে একটি বাগান তৈরির কাজ শুরু করেছেন তিনি। নিজে বাগান তৈরির পর চারা উৎপাদন করে কৃষক পর্যায়ে তা ছড়িয়ে দেবেন। একটি গাছ থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে ফল পাওয়া সম্ভব। চারা উৎপাদন করতে লাগে বালি, মাটি আর জৈবসার।

 

 

তিনি আরও জানান, প্রথমে বীজগুলো টিস্যুর মধ্যে রেখে তারপর মাটিতে অত্যন্ত যত্নে রেখে বড় করেছেন। বর্তমানে চারাগুলোর বয়স ৩ মাস। আগের উৎপাদিত প্রায় ১২টি চারা তিনি রোপণ করেছেন। বাকি ১২০টি চারা দিয়ে তিনি আজওয়া খেজুরের বাগান করবেন।

 

 

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ন কবির জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে। অনেক স্থানে কৃষকরা ফলও পেয়েছেন। কালীগঞ্জে যে যুবক এ খেজুরের চারা উৎপাদন করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর