মরুভূমির খেজুরের চারা উৎপাদন করে আয় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা

দিনাজপুরে উৎপাদিত হচ্ছে মরুভূমির খেজুরের চারা। মরুভূমির উত্তপ্ত আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফলের চারা দো-আঁশ মাটিতে উৎপাদন করে এ অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছেন কৃষক রবিউল হাসান। নিজ উদ্যোগে নাতিশীতোষ্ণ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় উৎপাদন করছেন উত্তপ্ত সৌদি আরবের খেজুরের চারা। সুলভ মূল্যে উত্তরাঞ্চলে চাষ ছড়িয়ে দিতে উন্নত জাতের সৌদি খেজুরের চারার নার্সারি গড়ে তুলেছেন।

 

 

কৃষক রবিউল হাসান রাজু জানান, অর্থনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই সংসারের উন্নয়ন ঘটাতে ২০০৪ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর অবস্থানকালেই খেজুর উৎপাদনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হাতে-কলমে খেজুর চাষের কলাকৌশল রপ্ত করেন।

 

 

পরে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়িতে ফিরে এসে তিনি বাড়ি সংলগ্ন জমিতে আত্রাই নার্সারি নামে একটি চারা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেন। এই নার্সারিতেই উৎপাদিত হচ্ছে সৌদি আরবের বিখ্যাত জাতের খেজুরের চারা। তিনি নিজেই সৌদি আরব হতে বীজ এনে চারা উৎপাদন করছেন।

 

 

তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু চারার বয়স দেড় থেকে দুই বছর। আবার কিছু চারার বয়স ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দেড় ফুট উচ্চতার এসব চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে। তার নার্সারিতে অন্তত ৫০০ খেজুরের চারা রয়েছে। তিনি নিজেই ২৫ শতাংশ জমিতে খেজুরের চারা লাগিয়েছেন। দিনাজপুর অঞ্চলে একমাত্র তার নার্সারিতেই এ চারা পাওয়া যাবে। তিনি প্রতিটি খেজুরের চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক হিসাবে দেখা গিয়েছে চারা বিক্রি করে তার আয় হবে আড়াই লক্ষ টাকা।

 

 

জেলার হর্টিকালচারের উপ-পরিচালক এজামুল হক জানান, সরকারিভাবে আরব দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের উন্নত খেজুর চারা আমদানি করে জেলার হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয়েছে। মাটির গুণগত এবং আবহওয়ার দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চল খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। আশা করছি এ অঞ্চলে খেজুর চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার