মাছ চাষে চিটাগুড়ের গুরুত্ব ও ব্যবহার যা না জানলে লোকসান হতে পারে

মাছ চাষে চিটাগুড়ের গুরুত্ব ও ব্যবহারের নিয়ম আমাদের সকলেরই জেনে রাখা দরকার। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে মাছের চাষ হচ্ছে। মাছ চাষে মাছের খাদ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাছকে সঠিকভাবে খাদ্য প্রয়োগ করতে না পারলে মাছ চাষে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আজকে চলুন জেনে নেই মাছ চাষে গুরুত্ব ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে-

 

 

মাছ চাষে চিটাগুড়ের গুরুত্ব ও ব্যবহারের নিয়মঃ
মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে চিটাগুড়ের গুরুত্ব ও ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হল-

 

 

মূলত চিটাগুড় খুবই ভালো একটা এনজাইম। যা মাছের মিনারেলসের ঘাটতি, শক্তি উৎপাদন, রুচিবর্ধক, হজমে চমৎকার কাজ করে। বিভিন্ন খাদ্যে ফার্মেন্টেশন করতে চিটাগুড় ব্যবহার হয়। প্রিবায়োটিক তৈরিতে চিটাগুড়ের ভূমিকা সর্বাধিক।

 

 

পুকুরের পানির ব্যবস্হাপনায় পিএইচ নিয়ন্ত্রণে, কার্বনডাই অক্সাইড দূর করে -পুকুরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া তৈরির মাধ্যমে, পুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্যের যোগান করে।

 

 

তবে অবশ্যই পুকুরে মাছ চাষে এর ব্যবহারবিধি এবং প্রয়োগ জেনে ব্যবহার করা উচিত।
নিম্নের এই মাত্রায় আমি নিজে প্রয়োগ করে আসছি এবং বহু চাষিকে ব্যাবহার করিয়ে ফলাফল খুব ভালো পেয়েছি কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়নি।

 

 

ব্যবহার বিধি এবং প্রয়োগ মাত্রাঃ

সরাসরি খাবারে-১০ গ্রাম। খাদ্য প্রয়োগের ১০ মিনিট থেকে ৮ ঘন্টা আগে অর্থাৎ সকালে তৈরিকৃত খাদ্য সকাল এবং বিকেলে প্রয়োগ।(পিলেট করতে যা ভিন্নতা পায়, ফাঙ্গাস প্রতিরোধক ওষুধ প্রয়োগে, তাপে, জমাটকরণে) পিলেটকৃত খাবারকে মাথায় রেখে অনেকেই পূর্বে চিটাগুড় মিশ্রিত করে রাখে যা কখনোই উচিত নয়। এতে খাদ্যে ক্ষতিকর ফাঙ্গাস, বিষক্রিয়া তৈরি হতে পারে।

 

 

ফার্মেন্টেশন তৈরিতে -১২ গ্রাম

মাছে ফার্মেন্টেশন খাদ্য সপ্তাহে দুদিন প্রয়োগ মাছের বৃদ্ধি তরান্বিত করবে -প্রাকৃতিক খাদ্য বাড়িয়ে দিবে।

 

 

কার্বন ডাই অক্সাইড দূরীকরণেঃ

গভীরতা ৩ থেকে ৬ ফুট পানির জন্য ৭০ থেকে ১০০ গ্রাম শতাংশে। সাথে হররা টানতে হবে সকাল ১০-২ টার মধ্যে, ঠিক এসময় অন্যান্য সময়ের চাইতে পানিতে দ্রবভীত অক্সিজেন বেশি থাকে।অন্যান্য সময়ে হররা টানা সাময়িক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে চলমান এমোনিয়া থাকাকালীন।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার