যেভাবে চিনবেন বেশি দুধ দেয়া গাভী

অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য ও স্কোরকার্ড যে গাভী অধিক দুধ দেয় তার শারীরিক আকার ও বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখেই গাভীটির দুধ উৎপাদন সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত ধারনা করা যায়।

 

 

কাজেই কোন ব্যক্তি যখন দুধের জন্য গাভী কিনতে বাজারে বা অন্য কোথাও গরু দেখতে যান তখন গাভীর মালিক বা দালাল গাভীটির দুধ উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্যই দিক না কেন ক্রয়কারী ব্যক্তি যদি অধিক দুগ্ধদানশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকে তবে তিনি নিজেই গাভীটি ভালভাবে দেখে যাচাই করে দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন।

 

 

বেশী উৎপাদনশীল গাভী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপুর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো-
মাথাঃ মাথা হালকা ও ছোট আকারের, কপাল প্রশস্ত ও উজ্জ্বল চোখ হবে।

 

 

দৈহিক আকৃতিঃ দেহের সামনের দিক হালকা, পিছনের দিক ভারী ও সুসংগঠিত হবে। গাভীর সমস্ত অংগ প্রতঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুগঠিত হবে। দৈহিক আকার আকর্ষণীয় ও শরীরের গঠন ঢিলা হবে।

 

 

পাঁজরঃ পাঁজরের হাড় স্পষ্ট অনুভব করা যাবে ও হাড়ের গঠন ঢিলা হবে।

 

 

চামড়াঃ চামড়া পাতলা হবে। চামড়ার নিচে অহেতুক চর্বি জমা থাকবে না। চামড়ার রং উজ্জল হবে। লোম মসৃণ ও চকচকে হবে।

 

 

ওলানঃ ওলান বড় ও সুগঠিত এবং দেহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। পিছনের দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত হবে। বাটগুলো একই আকারের হবে। চারটি বাট সমান দূরত্বে ও সমান্তরাল হবে। ওলান দেখেই দুগ্ধ ধারন ক্ষমতা অনুমান করা যাবে।

 

 

দুগ্ধ শিরাঃ দুগ্ধ শিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে। তলপেটে নাভীর পাশ দিয়ে দুগ্ধ শিরা আঁকাবাঁকা ভাবে বিস্তৃত থাকবে।

তথ্যসূত্রঃ সোনালি কৃষি