চায়না জাতের মুরগি পালন করে সফল গাজীপুরের ফিরোজ-সুফি দম্পতি

চায়না মুরগির জাত শিল্কি, কাদানাদ, হুং ইয়াং চি, হো ইয়াংচি, চ কো ছাড়াও বিভিন্ন মুরগি পালনে সফল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম ও তার স্ত্রী ওয়াং লু ফিং সুফি।

 

 

ফিরোজ বলেন, বাংলাদেশের মুরগি ৪ মাসে ৮শ/৯শ গ্রাম হয়ে থাকে, আর চায়না মুরগি দুই মাসের মধ্যে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের যে পিওর দেশি মুরগির জাত, যেটা বাংলাদেশে বেশি দামে বিক্রি হয়, সেটা চায়না মুরগির সঙ্গে ক্রস করে দুটোর যদি একটি জাত বের করা যায়, তাহলে সেটার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটা বাংলাদেশের মুরগির চেয়ে ভালো হবে। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে বাংলাদেশি মুরগি লালন-পালন করতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। সেক্ষেত্রে দুটোর ক্রস যে জাত সৃষ্টি হবে, তা পালনে অনেকেই আগ্রহী হবেন। কারণ, এটা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকতে পারে।

 

 

ওয়াং লু ফিং সুফি বলেন, বাংলাদেশের যে মুরগিটা আছে, সেটা খেতে খুবই সুস্বাদু। যদিও বাংলাদেশি মুরগি প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়, তবে এটার বড় সমস্যা বাংলাদেশি মুরগির গ্রোদটা কম। তবে চাইনিজ যে মুরগিটা আছে, সেটার সাথে যদি বাংলাদেশি মুরগির ক্রস করানো যায়; তবে দেশি মুরগির স্বাদটাও ঠিক থাকলো, পাশাপাশি গ্রোদটাও বাড়লো। সেক্ষেত্রে কম সময়ে লালন-পালন করে মুরগি খামারিরা লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি ইতোমধ্যে খামারটি পরিদর্শন করেছি। এখানে চায়না শিল্কি জাতের যে মুরগিটা আছে, সেটা খুবই সম্ভাবনাময়। ফিরো-সুফির এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

 

তথ্যসূত্রঃআধুনিক কৃষি খামার