ব্রয়লার মুরগির ঘর ও ব্যবস্থাপনাঃ ১০০০ মুরগির জন্য: ঘরের পুর্ব–পশ্চিম লম্বা হবে, ১০০০ মুরগির জন্য সাধারনত ১০০০ বর্গফুট জায়গার
দরকার,একটু বেশি হলে ভাল।গরমের সময় সুবিধা হয়।
বিভিন্নভাবে ১০০০ বর্গফুট করা যায়, যার যার সুবিধা
অনুযায়ীঃ
২০৫২ :১০৪০ বর্গফুট বা ২০৫১ :১০২০ বর্গফুট
৭০১৫ :১০৫০ বর্গফুট বা ৭৫১৫ :১১২৫ বর্গফুট,
★দৈঘ্য যা ইচ্ছা করা যায়,প্রস্ত ২৫ এর বেশি করা ভাল না।
★উচ্চতা ৮-৯ ফুট ভাল।ফ্লোর পাকা ভাল কিন্তু কাঁচা হলে ইটের খোয়া এবং বালি দিয়ে, তারপর এঁটেল মাটি দিয়ে লেপে দিতে হবে।
খাবারঃ ১০০০ ব্রয়লার মুরগি পালতে
খাবার লাগবে ৪৫ হতে ৫০ব্যাগ২১৫০=১০৭৫০০টাকা বাচ্চা১০০০৬০(দামের হেরফের হয়)=৬০০০০
মেডিসিন ৫,০০০
বিদ্যুৎ। ১০০০
লিটার। ৪০০০
কর্মচারী ৫০০০
টিকাঃ (৮-১২ দিন) গামবোরু টিকা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো। (১২-১৪ দিন) রাণীক্ষেত টিকা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো।
খাবার পাত্রঃ ১-৭ দিন ১০০টির জন্য ১ টি পানির পাত্র ১০০টির জন্য ১ টি প্রথম ১ দিন পেপারে খাবার দিতে হবে যাতে খাবার চিনতে পারে। ৭-১৫ দিন পর্যন্ত ৩০ টির জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৪০টার জন্য ১ টি পানির পাত্র।১৫-৩৫ দিন পর্যন্ত ২০-২৫ টার জন্য ১ টি খাবার পাত্র এবং ৩০ টার জন্য ১ টি পানির পাত্র। খাবার এবং পানির পাত্র কিছু কম বেশি হতে পারে তবে বেশি দেয়াই ভাল বিশেষ করে বাচ্চা
অবস্থায়।
ব্রুডিং: ব্রয়লারের বাচ্চা ২য় সপ্তাহে ২ গ্রাম এবং ৩য় সপ্তাহে ৩ গ্রাম করে প্রতি ঘন্টায় বৃদ্ধি পায়,তাছাড়া প্রতি ঘন্টায় ১ এমএল করে পানি খায়। পানি যদি ১-৩৫ দিনে ৪০% কম খায় তাহলে ওজন ৪০০ গ্রাম কম হবে। ১ম সপ্তাহে ওজন ১৮০ গ্রাম হলে ৩০ দিনে ১০ গুন মানে ওজন ১৮০০ গ্রামের কম হবে না।
লিটার এবং রোগঃ শীতের সময় লিটার ৩ ইঞ্চি এবং গরমের সময় ২ ইঞ্চি করে দিলে ভাল হয় কারন লিটার পাতলা হলে বাচ্চার শরীরের তাপ বের হয়ে লিটারে চলে যায়। লিটার ভিজা হলে মিক্সার বা নতুন করে দিতে হবে।লিটার ভাল মানে মুরগিভাল।
লিটার ভিজা হলে আমাশয় হয়, আমাশয় হলে গামবোরু এবং রানিক্ষত হবার সম্ভাবনা থাকে। লিটার বেশি শুকনা হলে স্প্রে করে দিতে হবে কারন ধুলা বালি নাকে গিয়ে মুরগির ঠান্ডা লাগে,বিশেষ করে বাচ্চার ব্রুডার নিউমোনিয়া হবার সম্বাবনা থাকে।
খাবার এবং পানির পাত্র ও রোগঃ খাবার পাত্র দিতে হবে পিঠ বরাবর আর পানির পাত্র দিতে হবে চোখ বরাবর তাহলে মুরগি সহজে খেতে পারবে এবং পানি ও খাবারে ময়লা পড়বে কম ফলে পানিবাহিত রোগ কমে হবে, পেট ভাল থাকবে। পাতলা পায়খানা হবেনা ওজন ভাল হবে।তাছাড়া দাঁড়িয়ে খাওয়ার কারনে পায়ের ব্যায়াম হবে এবং প্যারলাইসিস কম হবে। লিটার যদি খাবার এবং পানিতে পড়ে তাহলে আমাশয় হয় যা সব রোগকে দাওয়াত করে নিয়ে আসে। প্রতিদিন পানির পাত্র পরিস্কার করতে হবে এবং সপ্তাহে ১ বার খাবার পাত্র পরিস্কার করতে পারলে ভাল হয়।টিমসেন দিয়ে পাত্র পরিষ্কার করা যায়। মুরগির অধিকাংশ রোগ পানির মাধ্যমে আসে।
পর্দা এবং রোগঃ পরদার নিচের অংশ ফিক্স থাকবে এবং উপর হতে নিচে নামানো হবে,অথবা উপরে চটের অংশ এবং নিচে কাপড়ের অংশ থাকা উচিত যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী উঠানো নামানো যায়। শীতের সময় দরজা এবং পরদার উপরের অংশ ঢেকে দেয়া উচিত। পরদা উপরে ফিক্স থাকলে সঠিকভাবে উঠানো নামানো যায়না ফলে ভিতরে গ্যাস হয়,গ্যাস হলে ধকল পড়ে এবং শ্বাসনালির ক্ষতি করে ফলে মাইকোপ্লাজমা,ব্রংকাইটিস এবং রানিক্ষেত হতে পারে।
খাবার এবং পানি:খাবার হিসেবে স্টাটার ১-১৫গ্রোয়ার ১৫-২৫ এবং ফিনিশার ২৫-৩৫ দিন দেয়া হয়. অনেকে শুধু স্টাটার এবং গ্রোয়ার খাওয়ায়,ফিনিশার খুব কম খাওয়ায়। ১ম ২ দিন ৪ ঘন্টা পর পর খাবার দেয়া উচিত এবং খাবার যাতে সব সময় থাকে তা না হলে মুরগি ছোট বড় হয়ে যাবে। ৩-১০ দিন দিনে ৪ বার খাবার দিতে হবে এবং ১১ দিন থেকে দিনে ৩ বার খাবার গরমের দিন (দুপুর হতে সুর্য ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত)খাবারে বিরতি দিতে হবে।
রোগব্যাধি: প্রধান রোগ হল আমাশয়,গামবোরু,রানিক্ষেত. তাছাড়া মাইকোপ্লাজমা, ব্রংকাইটিস,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,ব্রুডার নিউমোনিয়া ও রিও ভাইরাস।
মেডিসিন: হার্বাল ঔষধ ব্যবহার করুন।নিমপাতা,হলুদের রস,আদার রস,রসুনের রস। ঔষধ ছাড়া হার্বাল খাইয়ে মুরগী পালন করুন।তাতে খরচ কম,রোগব্যাধি আসবে কম।
তথ্যসূত্রঃ এগ্রো ফারমস ২৪