যেনে নিন কিভাবে সেরা জাতের হাঁস দিয়ে গড়ে তুলবেন একটি লাভজনক খামার

এর আগেই আমরা কেন হাঁসের খামার ব্যবসা করবেন তার ১০ টি কারন পেয়েছিলাম। এবার আসুন হাঁসের জাত নিয়ে আলোচনা করা যাক। বাণিজ্যিক হাঁসের খামার ব্যবসায় অবশ্যই উন্নত জাতের হাঁস নির্বাচন করতে হবে। কেননা দেশী হাঁস বছরে মাএ ৬০ থেকে ৭০টি ডিম দেয়। অথচ উন্নত জাতের একটি হাঁস বছরে ৩০০ টি পর্যন্ত ডিম দেয়।

 

 

বাংলাদেশের জন্য বিশেষ উপযোগী হাঁসের জাত

খাকী ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার উন্নত জাতের হাঁস। বিশেষ ভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে এই জাতের হাঁস অধিক কার্যকারী। এই উভয় জাতের হাঁস বছরে ২৮০ থেকে ৩০৫ টি পর্যন্ত ডিম দেয়। তাই আপনার খামারের জন্য সেরা হাঁস হিসাবে এই উভয় বেছে নিতে পারেন।

 

 

খাকী ক্যাম্পবেল

এই জাতের হাঁস অধিক ডিম উৎপাদনের জন্য জনপ্রিয় উন্নত জাতের হাঁস। এরা দেখতেও খুব সুন্দর। এ জাতের মহিলা জাতের গলা খাকী হলেও পুরুষ জাতের হাঁসের গলা খাকী হয় না। উজ্জল সবুজ আভাযুক্ত সামান্য কালচে বং এর। পরিণত খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসের মধ্যে যে সব হাঁসের চোখ হলুদ, বাইরের শরীরের পালক সাদা যেসব হাঁস বেশী বিখ্যাত।

 

 

১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের মিসেস ক্যাম্পবেল অন্য দেশী মহিরা জাতের হাঁসের সাথে ভারতীয় রানার হাঁসের মিশ্রন ঘটিয়ে এই ক্যাম্পবেল হাঁসের সৃষ্টি করেন। এই ক্যাম্পবেল জাতের দুইটি প্রজাতি আছে। যেমন খাকী ও সাদা। তবে সাদার চেয়ে খাকী প্রজাতি অধিক প্রচলিত।

 

 

খাকী ক্যাম্পবেলের শারিরীক ওজন – পুরুষ ক্যাম্পবেল ২ থেকে আড়াই কেজি ও মহিলা বা হাঁসি ক্যাম্পবেল ১ থেকে দেড় কেজি। খাকী ক্যাম্পবেল বছরে ২৭০ থেকে ৩০০টি ডিম দেয়। খামার করার জন্য একটি আদর্শ জাত খাকী ক্যাম্পবেল কারন ডিম বেশী দেয় এবং অন্য জাতের থেকে খায় কম।

 

 

ইন্ডিয়ান রানার

ডিম উৎপাদন করার জন্য ইন্ডিয়ান রানার সেরা একটি হাঁসের জাত। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, ভিয়েতনাম এ জাতের হাঁস ব্যাপক পাওয়া যায়। বাণিজ্যিক ভাবে এই হাঁস চাষ করে খামার স্থাপন করা সহজ ও লাভজনক।

 

 

এরা দেখতে ছোট ও বিভিন্ন আবহাওয়ায় সহজেই খাপ খেয়ে নিতে পারে। ইন্ডিয়ান রানার জাতের হাঁসের পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রায় লম্বা, পালক যন ও গায়ের রং সাদা বর্ণের হয়। এরা সোজা চলে অন্য জাটের মত হেলে দুলে চলে না তার জন্য অনেক জায়গায় পেঙ্গুইন হাঁস বলে থাকে।

 

 

ইন্ডিয়ান রানার বছরে ২৮৫ টির বেশী ডিম দেয়। হাঁসা বা পুরুষ হাঁস ওজনে প্রায় দেড় থেকে আড়াই কেজি হয়। হাঁসি বা মহিলা জাতের হাঁস ১ থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়।

 

 

আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এই দুই জাত দিয়ে খামার শুরু করতে পারেন। উভয় ভাল জাত। আপনার ব্যবসার জন্য শুভ কামনা!

 

তথ্যসূত্রঃ banglapreneur