বায়োফ্লকে মাছ চাষের জন্য উপযোগী পানি তৈরির উপায় অনেক মাছ চাষিরাই জানেন না। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে সফল হওয়ার জন্য এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের কৌশলগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। চলুন আজ জানবো বায়োফ্লকে মাছ চাষের জন্য উপযোগী পানি তৈরির উপায় সম্পর্কে-
বায়োফ্লকে মাছ চাষের জন্য উপযোগী পানি তৈরির উপায়ঃ
১। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে উপযোগী পানি তৈরির জন্য প্রথমে ট্যাংক ব্লিচিং পাউডার অথবা পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এরপর ১ দিন শুকিয়ে নিতে হবে।
২। ২য় দিন অর্ধেক পরিমাণ পানি দিয়ে ট্যাংক পূর্ণ করতে হবে।এরপর ২দিন এয়ারেশন দিয়ে রাখতে হবে।
৩। ৪র্থ দিন ট্যাংকের পানির টিডিএস ও পিএইচ পরিমাপ করতে হবে। সাধারণত পানির টিডিএস থাকে ৫০০ এর মধ্যে। ট্যাংকের পানির টিডিএস ৬০০-১০০০ এর মধ্যে থাকতে হবে। ট্যাংকের পানির টিডিএস ৬০০ এর কম থাকলে বায়োফ্লকে মাছ চাষের জন্য প্রোবায়োটিক প্রয়োগের আগেই রসল্ট দিয়ে টিডিএস বাড়িয়ে নিতে হবে।
টিডিএস বাড়াতে প্রতি ১ লিটারে ০.২ গ্রাম অর্থাৎ ১০০০০লিটারে ১-২ কেজি রসল্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে। যাদের টিডিএস শুরুতেই অনেক বেশি তাদের স্যালিনিটি পরীক্ষা করা দরকার। অথবা আয়রন এর কারনে টিডিএস বেশি হলে অন্য কোন ট্যাংকে ফিটকিরি প্রয়োগ করে ২দিন পর তলানি পরলে উপরের স্বচ্ছ পানি মূল ট্যাংকে নিতে হবে।
৪। বায়োফ্লকে পানির পিএইচ এর মান ৬.৫ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে হলে ভালো। এই মানের মধ্যে থাকলে পানিতে কোন কিছু প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। তবে পিএইচ এর মান ৬ এর কম হলে চুন/ caco3 প্রতি ১ লিটারে ০.০৫ গ্রাম, অর্থাৎ ১০০০০ লিটারে ৫০০গ্রাম প্রয়োগ করা যেতে পারে। পিএইচ একটু বেশি হলে কোন কিছু প্রয়োগ না করলেও চলবে।কার-ণ ভালো এয়ারেশন হলে পিএইচ এর মান এমনিতেই কমে যাবে।
উপরে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী পানি প্রস্তুত করলে পানির সবগুলো প্যারামিটার সঠিক থাকবে। ফলে মাছের গ্রোথ অনেক ভালো হবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার