মৌসুমি ফল লটকন। এর ইংরেজি নাম বার্মিজ গ্রেপ। হলুদাভ ছোট ও গোলাকার এ ফলটি স্বাদে ও পুষ্টিগুণে অনন্য। স্বাদে ফলটি টক-মিষ্টি। এ ফলের রয়েছে বেশ কয়েকটি নাম। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি।
লটকন দক্ষিণ এশিয়ায় বুনো গাছ হিসেবে জন্মালেও বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বানিজ্যিক চাষ হয়। এটি সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করা হয়। এর ছাল থেকে রঙ তৈরি করা হয় যা রেশম সুতা রাঙাতে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও লটকনের রয়েছে নানাবিধ ওষুধি গুণ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক লটকনের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-
পুষ্টিগুণ
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে লটকনে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে বেশ কার্যকর। এছাড়াও লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন বি। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি।
উপকারিতা
>> এ ফল মুখের রুচি বাড়ায়।
>> মানসিক চাপ কমায় এ ফল।
>> এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়।
>> লটকনে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
>> লটকন গাছের শুকনো গুঁড়া পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়।
>> লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে।
>> এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়।
>> এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।
>> এছাড়া এই ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে, যা শরীরের রক্তশূন্যতা পূরণ করে।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ