পুকুরে গ্যাসের সমস্যা হলে খামারিরা যা করবেন

পুকুরে গ্যাসের সমস্যায় মৎস্য চাষিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ যেগুলো রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা জরুরী। প্রাকৃতিক উৎসে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সাথে সাথে আমাদের দেশে পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুকুরে মাছ চাষে অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। চলুন আজ জেনে নিব পুকুরে গ্যাসের সমস্যায় মৎস্য চাষিদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে-

 

 

মাছ চাষে পুকুরের পানি দূষিত হলে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় ও নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

 

 

১। পুকুরে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে পানির রঙ তামাটে অথবা কালচে রঙের হয়ে থাকে। এতে পুকুরে চাষ করা মাছের ছোটাছুটি বেড়ে যায়। এমন সমস্যায় পুকুরে মাছের মজুদ ঘনত্ব কমিয়ে আনতে হবে। আর এই সময়ে সার ও খাদ্য প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে পুকুরে পানি প্রবেশ করাতে হবে।

 

 

২। মাছ চাষের পুকুরে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে অক্সিজেনের অভাবে মাছ পানিতে খাবি খায়। এই সময়ে পানিতে বাঁশ দিয়ে পানির ওপর পেটানো, হররা টেনে পুকুরের তলদেশের গ্যাস বের করে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন ও কৃত্রিম অক্সিজেন প্রয়োগ করতে হবে।

 

 

৩। মাছের পুকুরে নাইট্রাইটের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাছের দেহে অক্সিজেন সঞ্চালন বাধা প্রদান করে। এমন সমস্যায় মাছের দেহ বাদামি বর্ণ ধারণ করে। এই সমস্যা এড়াতে পুকুরে যাতে নাইট্রাইটের পরিমাণ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

 

৪। পানিতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেড়ে গেলে মাছের দেহে বিষক্রিয়া হয় এবং পুকুরের মাছের শ্বাসকষ্ট হয়। মাছের এই সমস্যায় ঘনত্ব কমিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে পুকুরে ২৫০ মিলিগ্রাম/লিটার হারে লবণ প্রয়োগ করতে হবে।

 

 

৫। মাছ চাষের পুকুরে পানির পিএইচ সমস্যায় দেখা দিলে মাছের খাদ্য গ্রহণ কমে যায় ও মাছ বেশি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার