বিভিন্ন জাতের লাউয়ের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সীতা জাতের লাউ। সীতা লাউ একটি কদুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। লাউয়ের চারা একবার রোপণ করলে ঐ গাছ থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ১২ মাস লাউয়ের ফলন পাওয়া যাবে। বারি সীতা লাউ ১ জাতটি ২০১০ সালে অনুমোদন করা হয়।
সীতা লাউয়ের চারা রোপণের পাঁচ-ছয় মাস পর থেকে ফুল আসে। ৩০ দিন পর ফল সবজি হিসেবে খাওয়ার উপযোগী হয়। তারপর থেকে এই লাউ গাছ সারা বছর ধরে ফলন দিতে থাকে। পাঁচ-সাত বছরের একটি সীতা লাউ গাছ থেকে ২০০টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি লাউয়ের গড় ওজন হয় ৭৫০ গ্রাম। যেহেতু প্রতিটি গাছ ১০-১৫ বছর ধরে বেঁচে থাকে সেজন্য গাছের মাচা মজবুত করে তৈরি করতে হয়।
শীতকালীন লাউ চাষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে বীজ বপন করতে হয়। তবে আগাম শীতকালীন ফসলের জন্য আগস্টের মাঝামাঝি সময়েও বীজ বপন করা যায়। চার-পাঁচ দিনের মধ্যে চারার অঙ্কুরোদগমন হয়। সীতা লাউ চাষের জন্য প্রতি মাদায় ২.২ মিটার দূরত্বে দুটি করে সুস্থ ও সবল চারা রোপণ করতে হয়। মাদার ওপরে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। রবি মৌসুমে মাচাবিহীন অবস্থায় চাষ করা যায়।
যেহেতু এই সীতা লাউ ১০-১৫ বছর ধরে বেঁচে থাকে এবং ফল দিতে থাকে সুতরাং মজবুত মাচা তৈরি, ছাঁটাই এবং ফলের আকৃতি ঠিক রাখতে কয়েকবার বোরন সার দিতে হয়। পানি সেচ আর বাউনি দেওয়া লাউয়ের প্রধান পরিচর্যা লাউ ফসলে প্রচুর পরিমাণে পানি দিতে হয়। আগাম ফসলের জন্য শুষ্ক মৌসুমে জমি অনুযায়ী সেচ দিতে হবে। বাউনি বা মাচায় লাউ গাছ বাধাহীনভাবে যাতে বাইতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক