চার ঔষধি ঘাসের মিশ্রণ খাদ্য গবেষণার মাধ্যমে গাভির দুধ উৎপাদন বাড়ানোর পন্থা উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। এরই মধ্যে ঘাসের মিশ্রণ খাদ্যের গবেষণায় সফলতাও মিলেছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ঔষধি ঘাসের প্রভাব’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রধান গবেষক পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমিষের অন্যতম উৎস হচ্ছে গাভির দুধ। সাধারণত গাভির দুধের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, গ্রোথ হরমোন ও স্ট্যারয়েডস ব্যবহার করেন খামারিরা। এসব উপাদান নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই গাভির দুধের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষতিকর উপাদানের বিকল্প হিসেবে চারটি ঔষধি গাছ ব্যবহার করে গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন বলেন, ঔষধি গুণ সম্পন্ন সজিনা পাতা, তেলাকুচা পাতা, আনারসের উচ্ছিষ্টাংশ ও লেমন ঘাসের একটি মিশ্রণ দুগ্ধজাত গাভীর খাদ্যের সঙ্গে ব্যবহার করলে দুধের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, জিংকসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে উৎপাদনও বাড়ে।
মিশ্রণটি খামারিরা দুগ্ধজাত গাভীর খাদ্যের সঙ্গে ব্যবহার করলে অধিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ নিরাপদ দুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন। এই দুধ খেলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলে গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, এই চারটি ঘাস নির্বাচন করতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ঘাসের সহজলভ্যতা, খরচ বিশ্লেষণ এবং জৈব ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ বিশ্লেষণ।
তথ্যসূত্রঃ দি এগ্রো নিউজ