গরু, ছাগল,কবুতর, মুরগি ও কোয়েল পাখির যত্নে ওজিংক প্লাস-১৮ এর ভুমিকা

প্রাণির পুষ্টি উপাদানের মধ্যে জিংক একটি অতি প্রয়োজনীয় । জিংক প্রাণির খাদ্য গ্রহণের রুচি বজায় রাখা, প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ত্ব্ক ও হাড় গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ ছাড়াও বেশ কিছু এনজাইমের কাজে কো-ফ্যাকটর হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

জিংক এর কাজঃ

১। জিংক এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট-প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া রোগ-জীবাণু প্রতিরোধে জিংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জিংক এর অভাব রয়েছে এমন প্রাণি সহজে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়।

২। দেহের অনেক বিপাকীয় কাজে জিংক অংশ নেয়। শর্করা ভাঙনে ভূমিকা রয়েছে, এছাড়া দেহ কোষের বৃদ্ধি, জনন এসবেও সহযোগীতা করে।

৩। লালা গ্রন্থির জিংক নির্ভর পলিপেটাইড, গাসটিন এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়। কাজেই যদি জিংক এর অভাব থাকে তবে স্বাদ বোঝার ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ রুচি কমে যায়।

৪। মোরগ মুরগির পূর্ণ যৌন পরিপক্কতা এবং বংশবৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের জন্য জিংক অত্যাবশ্যক।

৫। জিংক এর অভাবে পোল্ট্রীতে ডিমের হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।

৬। জিংক ডিএনএ ও আরএনএ পলিমারেজ এনজাইমের একটি আবশ্যক উপাদান ।

কিছু হরমোন যেমন: গ্লুকাগন, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন এবং সেক্স হরমোন এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৭। জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পোল্ট্রীর দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও তার কাজ এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভ্রুণের বৃদ্ধিকালিন সময়ে কঙ্কাল- এর বৃদ্ধির জন্য কেরাটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের দ্বারা জিংক ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে।

৮। তাপ জনিত ধকলে প্রাণির উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। দেখা গেছে যদি খাদ্য তালিকায জিংক এর সরবরাহ থাকে তবে তা এই ধকল প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৯। ডায়রিয়া, অামাশয় বা যেকোন পেটের গোলযোগজনীত সমস্যা কমাতে জিংক অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

জিংকের অভাব জনিত লক্ষণঃ

১। জিংক-এর অভাবে বীর্যের গুণগত মান খারাপ হয়। ফলে ডিমের উর্বরতা কমে যায়।

২। জিংকের অভাবে ছোট বাচ্চা খর্বকায় হওয়া, পায়ের হাড় খাটো ও মোটা হওয়া, হক জয়েন্ট এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ত্বক মোটা হওয়া বিশেষত পায়ের চামড়া, দূর্বল পালক বিন্যাস, লোম পড়ে যাওয়া, পুষ্টি উপাদানের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া, রুচি কমে যেতে পারে।

৩। ডায়রিয়া বা আমাশয় হলে শরীরের তীব্র জিংক ঘাটতি হয়। এর ফলে প্রানির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।আপনার মোরগ মুরগির জিংকের অভাব পূরণে মাঝে মাঝে জিংক সিরাপ বা পাউডার খাওয়াতে পারেন।

কবুতর, মুরগি, গরু, ছাগল ও কোয়েল পাখির যত্নে ওজিংক প্লাস-১৮

ওজিংক প্লাস-১৮ হচ্ছে একটি উন্নতমানের অর্গানিক জিংক সাপ্লিমেন্ট। যা জিংক ও মিথিওনিন সমন্বয়

কার্যকরী উপাদানঃ
জিংক (জিংক মিথিওনিন কমপ্লেক্স হিসেবে) …….১৮.০০%

ব্যবহার ক্ষেত্রঃ
পোল্ট্রিতে ব্যবহারঃ

• নিরাপদ উৎপাদন (মাংস এবং ডিম) বৃদ্ধিতে।

• রক্ত আমাশয় এবং অন্ত্রনালীর প্রদাহ-এর সহযোগী চিকিৎসায়।

• ত্বকের প্রদাহ এবং ফুটপ্যাড ক্ষত-এর সহযোগী চিকিৎসায় প্রাণী পুষ্টি প্রিমিক্স।

গবাদিপ্রাণীতে ব্যবহারঃ
নিরাপদ উৎপাদন (মাংস এবং দুধ) বৃদ্ধিতে।

জীবাণু জনিত সংক্রমণে ওলান এবং ত্বকের গঠন সুরক্ষিত রাখতে

• ওলান প্রদাহ এ ফুরিয়ে হাঁটা প্রতিরোধে।

• ছাগল : ভাইরাস জনিত রোগে (পিপিআর) মৃত্যুহার প্রতিরোধে।

মাছ চাষের ব্যবহারঃ
মাছের নাভি পঁচা, ফুলকা পঁচা, গা পঁচা রোগে সহযোগী চিকিৎসায়।

ব্যবহারবিধিঃ
১ গ্রাম ওজিংক প্লাস-১৮ পাউডার ৩-৫ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে পরপর ৫-৭ দিন।

মূল্যঃ ১৭৭ টাকা (১০০ গ্রামের প্যাকেট)।

কোম্পানিঃ রেনাটা এনিমেল হেলথ লিমিটেড।

তথ্যসূত্রঃ সোনালি কৃষি