সুস্বাদু ও দামি ফল স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

ট্রবেরি আমাদের দেশে তেমন পরিচিত ফল নয়। এর প্রধান কারণ এটি সাধারণত শীতপ্রধান দেশের ফল। বেশ সুস্বাদু ও দামি ফল এটি। অবশ্য আজকাল দেশেও চাষ হচ্ছে। কিন্তু গরমের দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশে চাষ করা স্ট্রবেরির স্বাদ শীতের দেশের স্ট্রবেরির মতো হয় না। কম পরিচিত ফল হওয়ায় এদেশে এখনো মানুষ স্ট্রবেরি সেভাবে পছন্দ করে না।

 

 

ফলে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে আগে জনপ্রিয় করার কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। এ ব্যাপারটি না বুঝে হুজুগে পড়ে অনেকেই এক সময় ব্যাপকভাবে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু বেচতে না পারার কারণে লোকসান দিয়েছেন। ফল বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ট্রবেরি আমাদের প্রচলিত ফলের মতো খাওয়ার ফল নয়। এটি আসলে সতেজ/তাজা হিসেবে যতটুকু না জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত হয় তার চেয়ে প্রক্রিয়াজাত ফল হিসেবে বেশি কার্যকর, জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত হয়।

 

 

স্ট্রবেরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ বাড়াতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া জ্যাম, জুস, জেলি, ক্যান্ডি, মিল্কশেক, শরবত, মিশ্র তরল বানাতে বেশ উপযোগী। ফলে স্ট্রবেরি চাষ লাভজনক করতে হলে পোলট্রি শিল্পের মতো এর বিভাজন। যেমন: চারা উৎপাদন, ফল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ।

 

 

এভাবে তিনটি আলাদা খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তবেই স্ট্রবেরি চাষ লাভজনক করা সম্ভব। তাছাড়া এ ফল প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করারও কিন্তু ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ভোক্তা হিসেবে আমাদের দেশের মানুষ এমন সৌখিন নয়, ফলে এ ধরনের ফল ফসল চাষে রফতানির দিকে নজর দেওয়াই উত্তম।

 

 

স্ট্রবেরি ছোট ঝোপ বা ঔষধি (Herb) উদ্ভিদ। পাতা সবুজ, ছোট, কিনারা খাঁজকাটা, থানকুনি পাতার মতো; পাতার বোঁটাও লম্বা, সরু, নরম এবং বেশ বাহারি লোমশ। ঝোপের মধ্যেই ছোট ছোট ঘণ্টার মতো সাদা বা ঘিয়ে রঙের ফুল ফোটে। সরু সুতার মতো বোঁটার মাথায় একটি একটি করে ফল ধরে।

 

 

কাঁচা ফলের রঙ প্রথমে সবুজ, ক্রমে সাদা এবং পাকলে উজ্জ্বল লাল হয়। স্ট্রবেরির ফল কিন্তু একটি পরিবর্তিত যৌগিক ফল। অর্থাৎ একটি ফল মানে বহু ফলের সমষ্টি। ফলের খাওয়ার উপযোগী অংশটি রসাল লাল। এটি একটি ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ। অর্থাৎ বীজগুলো থাকে ফলের বাইরে গায়ে। এক থোকাতে অনেকগুলো ফল ধরে।

 

 

আকর্ষণীয় রঙ, গন্ধ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় ও সমাদৃত। এতে ভিটামিন সি ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য ভিটামিন, খনিজ পদার্থের পাশাপাশি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু জৈব অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ইল্লাজিক এসিড) রয়েছে; যা বার্ধ্যক্য ও ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া ত্বকের পরিচর্যার জন্যও স্ট্রবেরি বহুল সমাদৃত।

 

 

স্ট্রবেরির জাত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। আরো দুটি উচ্চফলনশীল জাত অবমুক্ত করার অপেক্ষায়। জাত ৩টি বাংলাদেশের সব জায়গায় চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়।

 

 

জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ বেশি শীতে যে ফল আসে সেগুলো গুণে মানে স্বাদে সৌন্দর্যে আকারে চমৎকার। প্রতি গাছে গড়ে ৬০ থেকে ৭৫টি ফল ধরে যার গড় ওজন সাধারণভাবে ৩৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। গড়ে গাছপ্রতি ৪৫০ গ্রাম। বিক্রয়যোগ্য প্রতিটির গড়পড়তা ওজন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। প্রিমিয়াম বা ভালো আকারের ফলগুলো ৪৫ থেকে ৫০ গ্রামের হয়। গড়ে প্রতিটি ফল ১৫ গ্রামের হয়। হেক্টরপ্রতি ফলন ১০ থেকে ১২ টন।

 

 

এ জাতের পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। জাতটি যথেষ্ট পরিমাণে সরু লতা হতে উৎপন্ন চারা/রানার উৎপাদন করে বলে এর বংশবিস্তার সহজ। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে সরবরাহকৃত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫, আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত হিসেবে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশে চাষকৃত জাতগুলোর মধ্যে সবগুলোই প্রবর্তন (Introduction) এবং নির্বাচন (Selection) মাধ্যমে প্রচলিত হয়েছে।

 

 

স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

স্ট্রবেরি মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলের ফসল। ফুল ও ফল আসার সময় শীতল ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়া রবি মৌসুম স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ সমতল মাটি স্ট্রবেরি চাষের জন্য উপযোগী। জমিতে পানি জমলে স্ট্রবেরি বাঁচে না।

 

 

জমি ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গভীরভাবে অন্তত ১ ফুট গভীর চাষ দিতে হবে। শেষ চাষের সময় পরিমাণমতো সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। স্ট্রবেরির চারা মধ্যআশ্বিন থেকে মধ্যকার্তিক (অক্টোবর) মাসে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা যায়। চারা রোপণের জন্য জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে।

 

 

প্রতিটি বেড প্রায় ৩ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মধ্যে ১ থেকে ১.৫ ফুট চওড়া নালা রাখতে হবে। প্রতি বেডে দুই লাইনের মধ্যে ১.৫ থেকে ২ ফুট দুরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি লাইনে ১ থেকে ১.৫ ফুট দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে। এ হিসাবে প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি চারা রোপণ করা যায়।

 

 

প্রয়োজনীয় সার

ভালো ফলনের জন্য জমিতে পরিমাণমতো সার দিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে ফলন ভালো হয়। সাধারণ হিসেবে প্রতি শতক জমিতে সারের পরিমাণ হলো শুকনো পচা গোবর ১২০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, এমওপি ৯০০ গ্রাম, জিপসাম ৬০০ গ্রাম; শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

 

 

ইউরিয়া ও অবশিষ্ট এমওপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর ৮ থেকে ৫ টি কিস্তিতে উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। জমিতে রসের অভাব দেখা দিলেই প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে। ফল উৎপাদনের সম্পূর্ণ সময়টিতে বেশ কয়েকবার সেচ দিতে হয়। একই সাথে মনে রাখতে হবে স্ট্রবেরি জলাবদ্ধতা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত বের করে দিতে হবে।

 

 

চারা উৎপাদন ও রোপণ

স্ট্রবেরি বীজ এবং রানারের (কচুর লতি/থানকুনির মতো লতা) মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। তাই আগের বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হবে। সে গাছ থেকে উৎপন্ন রানারের পর্বসন্ধি (গিঁট) হতে শিকড় বের হলে তা মাতৃগাছ থেকে কেটে সুষমভাবে মিশ্রিত ৫০ ভাগ গোবর ও ৫০ ভাগ পলিমাটিযুক্ত পলিথিন ব্যাগে রোপণ করতে হবে।

 

 

এরপর পলিথিন ব্যাগসহ চারাটি হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। অতিরিক্ত বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য চারার ওপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। রানারের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হলে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই জাতের ফলন ক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য ২-৩ প্রজন্ম পরপর টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত চারা ব্যবহার করা ভালো।

 

 

স্ট্রবেরির যত্ন

সরাসরি মাটির সংস্পর্শে এলে স্ট্রবেরির ফল পচে নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য প্রথম ফুল আসার পরপরই স্ট্রবেরির বেড খড় বা কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলিলিটার ডার্সবান ২০ ইসি ও ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন ডিএফ মিশিয়ে সে দ্রবণে খড় শোধন করে নিলে তাতে উঁইপোকার আক্রমণ হয় না এবং দীর্ঘ দিন তা অবিকৃত থাকে।

 

 

জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছ লাগানোর পর তার গোড়া থেকে প্রচুর রানার বা কচুর লতির মতো লতা বের হতে থাকে। এগুলো মাতৃগাছ থেকে খাদ্য আহরণ করে ফুল ও ফল আসা বিলম্বিত করে। এতে ফলন ভালো হয় না, কমে যায়। এ জন্য ফল উৎপাদনের সময় রানারগুলো ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর কেটে ফেলতে হবে।

 

 

স্ট্রবেরির রোগবালাই ও প্রতিকার

অ্যানথ্রাকনোজ স্ট্রবেরির একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এর আক্রমণ পাতা, ফল, রানার এবং ক্রাউনে বা শীর্ষ মুকুলে দেখা যায়। তবে ক্রাউন রুটই (Crown Rot) সবচেয়ে ক্ষতিকর। Colletotrichum gloeosporioides নামক ছত্রাক এ রোগের কারণ। এর প্রতিকারের জন্য অনুমোদিত ছত্রাকনাশক টিল্ট প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ৭ থকে ১০ দিন পরপর ২ থেকে ৩ বার গাছের গোড়াসহ সর্বত্র স্প্রে করতে হবে।

 

 

এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে পাতায় দাগ পড়া রোগ হয়। এ রোগের আক্রমণে ফলন কমে যায় ও ফলের গুণগতমান কমে যায়। ফল পচা রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে জলে ভেজা বাদামি বা কালো দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ দ্রুত বেড়ে যায় এবং ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। যেহেতু গাছে ফল আসা শুরু করলে বিভিন্ন গাছে বিভিন্ন পর্যায়ের ফল সবসময়ই বিরাজ করে, তাই গাছে ফল আসার পর কোনো প্রকার ছত্রাকনাশক/কীটনাশক প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই শ্রেয়। যেমন- মাঠ আগাছামুক্ত, আবর্জনামুক্ত (মরা পাতা ও পচা ফল) রাখা এবং ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক দ্বারা শোধিত খড় দিয়ে মালচিং করা।

 

 

নার্সারিতে চারা উৎপাদনের সময় এবং মাঠে চারা রোপণের অব্যবহিত পরে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় গাছে মাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়। মাকড়ের আক্রমণে স্ট্রবেরি গাছের বাড়বাড়তি, ফলন ক্ষমতা ও গুণগতমান মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এদের আক্রমণে পাতা তামাটে বর্ণ ধারণ করে ও পুরু হয়ে যায়, আস্তে আস্তে কুঁকড়ে যায় এবং অনেক অনাকাক্ষিত শাখা প্রশাখা গজায়। গাছের স্বাভাবিক বাড়বাড়তি ব্যাহত হয়।

 

 

এ জন্য ভারটিমেক/অ্যাবামেকটিন (মাকড়নাশক) প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার পাতার নিচে স্প্রে করতে হবে। বুলবুলি পাখি স্ট্রবেরির সবচেয়ে বড় শত্রু। ফল আসার পর সম্পূর্ণ পরিপক্ব হওয়ার আগেই পাখির উপদ্রব শুরু হয়। এজন্য ফল আসার পর উঁচু করে সম্পূর্ণ বেড/মাঠ জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে পাখি ফল খেয়ে নষ্ট করতে না পারে। এ ছাড়া মেরুদণ্ডী প্রাণির মধ্যে ইঁদুর ও শিয়াল ফসল নষ্ট করতে পারে।

 

 

স্ট্রবেরি গাছ প্রখর সূর্যের আলো ও বেশি বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না। এজন্য এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হালকা ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ফল সংগ্রহের পর সুস্থ সবল গাছ মাঠ থেকে তুলে পলিথিন ছাউনির নিচে রোপণ করলে মাতৃগাছকে সূর্যের খরতাপ ও ভারি বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। এ সময় তাদের বাড়বাড়তি বেশি হয় না। মাতৃগাছ থেকে উৎপাদিত রানার পরবর্তী সময়ে চারা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে রানারকে অফ সিজনে/অমৌসুমে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যেন পরবর্তী মৌসুমে মানসম্মত চারা পাওয়া যায়।

 

 

আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি (অক্টোবর মাসের শুরু) সময়ে রোপণকৃত বারি স্ট্রবেরি-১ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাসের মাঝামাঝি শুরু হয়ে চৈত্রের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। ফল পেকে লাল রঙ হলে ফল সংগ্রহ করতে হয়। স্ট্রবেরির সংরক্ষণকাল খুব কম হওয়ায় ফল সংগ্রহের পর পরই তা টিস্যু পেপার স্টাইরোফোমের নেটের জ্যাকেট দিয়ে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ঝুঁড়ি বা অনূর্ধ্ব ৯ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট ও ছিদ্রযুক্ত শক্ত কাগজের কার্টুনে এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে ফল গাদাগাদি অবস্থায় না থাকে। ফল সংগ্রহের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজারজাত করতে হবে।

 

 

স্ট্রবেরি উৎপাদনকারী কৃষকরা ফল তোলার পর বিশেষ রাবার-প্লস্টিকের নেটের জালি দিয়ে প্যাকিং করে রাখতে হবে। এতে পরিবহনে সমস্যা হবে না। বাজারে বিক্রির আগে মোড়ক খুলে অক্ষত সতেজ ফল বিক্রি করতে হবে। স্ট্রবেরির গুণগত মান ও আকার মূলত তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। সেজন্য জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে ফল আসে এমন হিসাব করেই স্ট্রবেরি আবাদ করতে হবে।

তথ্যসূত্রঃ কর্ষণ