ভারতীয় উদ্ভিজ্জ গবেষণা ইন্সটিটিউট, ২৩ বছর কঠোর পরিশ্রমের পরে, অবশেষে ঢ্যাঁড়স-এর একটি নতুন প্রজাতির (কাশী লালিমা) বিকাশে সফল হয়েছে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য ধরণের পুষ্টি তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে এই ঢ্যাঁড়স-এ।
উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত ভারতীয় উদ্ভিজ্জ গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের এই সাফল্যটিকে বিশেষ সাফল্য বলে অভিহিত করেছে। লাল রঙের ঢ্যাঁড়স পশ্চিমি দেশগুলিতে প্রচলিত রয়েছে, যা ভারতে আমদানি করা হয়। এর বিভিন্ন জাতের দাম প্রতি কেজি ১০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।
ভারতীয় কৃষকরা শীঘ্রই এটি প্রচুর পরিমাণে উত্পাদন করতে সক্ষম হবেন। এই বছরের ডিসেম্বর থেকে, এর বীজ ইনস্টিটিউটে কৃষকদের জন্য উপলব্ধ করা হবে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ঢ্যাঁড়স-এর উত্পাদন কেবল ভারতীয় কৃষকদেরই উপকার করবে না, সাধারণ মানুষেরও পুষ্টি সরবরাহের আরও ভাল বিকল্প মাধ্যম হবে।
এই প্রজাতির গবেষণা ১৯৯৫-৯৬ সালে শুরু হয়েছিল। সুদীর্ঘ গবেষণার পর কাশী লালিমার দ্রুত বিকাশ শুরু হয়েছে। ২৩ বছরের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এই ঢ্যাঁড়স-এর বর্ণ বেগুনি এবং লাল। এই ঢ্যাঁড়স-এর দৈর্ঘ্য ১১-১৪ সেমি এবং ব্যাস ১.৫ -১.৬ সেমি। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
ভারতে কেবল সবুজ ঢ্যাঁড়স-এর প্রচলন রয়েছে। লাল রঙের ঢ্যাঁড়স পশ্চিমি দেশগুলিতে বেশি জনপ্রিয় এবং ভারত সেখান থেকে এর আমদানি করে। দেশে এর জাতটি বিকশিত হয়ে গেলে, এটি আমদানি করার দরকার পড়বে না। ভারতীয় কৃষকরা এটি চাষ করে এর থেকে বিপুল পরিমাণ লাভের আশা করছেন।
এই লাল বর্ণের ঢ্যাঁড়স অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। অনেকে বাড়িতেও এর চাষ শুরু করেছেন। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় এই প্রজাতির ঢ্যাঁড়স চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
তথ্যসূত্রঃ কৃষি জাগরণ