সুস্বাদু সবজি স্কোয়াশ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির তিন বেকার বন্ধু। ইউটিউবে ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নরসিংদী জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এর চাষ শুরুর করে তারা। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।
বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ করে বর্তমানে স্কোয়াশ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। এদিকে বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় এই স্কোয়াশ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, খুলনা, রংপুর, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
এদিকে এখন তাদের দেখাদেখি অনেকেই স্কোয়াশ চাষ শুরু করেছেন। সরকারিভাবে সহায়তা পেলে চাষ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ডুগরপাড়া গ্রামের তিন বন্ধু মুনিরুজ্জামান, শাহজাহান ও মতিয়ার এইচএসসি পাশ করার পর চাকরি খুঁজছিলেন। এরই মধ্যে তারা ইউটিউবে ৩ মাসের সবজি স্কোয়াশ চাষের পদ্ধতি দেখেন। তারপর উদ্বুদ্ধ হয়ে নরসিংদী জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে এর চাষ করেন। এরপরই ভাগ্য বদলানো শুরু তাদের।
বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩ লাখ টাকা স্কোয়াশ বিক্রি হওয়ায় এখন তারা বেশ স্বাবলম্বী। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার স্কোয়াশ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, খুলনা, রংপুর, গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
উদ্যোক্তা মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, স্কোয়াশ মিষ্টি কুমড়া জাতীয় বেশ লাভজনক সবজি। জয়পুরহাটে আমরাই প্রথম এই চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছি। তবে সরকার যদি এই স্কোয়াশ চাষে সহযোগিতা করে, তাহলে আগামীতে এর চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলক আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, পুষ্টিগুণে ভরপুর ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এই স্কোয়াশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৌশলগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এই স্কোয়াশ চাষে সরকার প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহযোগিতা করলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবে, অন্যদিকে এলাকার বেকারত্ব দূর হবে বলে মনে করছেন জয়পুরহাটবাসী।
তথ্যসূত্রঃ বিডি জার্নাল