রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের রাংগিপাড়া এলাকায় পেঁপে বাগান চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন হেলাল মাষ্টার নামের এক শিক্ষক। তিনি পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সে দেশের কৃষকদের উৎসাহিত করে বেকারত্ব জীবন থেকে রক্ষা পেতে কৃষি কাজে ধাবিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,হেলাল উদ্দিন মাষ্টার তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে পেঁপে বাগানে কাজ করেন। তার চিন্তা চেতনা হলো পেঁপে বাগান করে আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। পাশাপাশি জেলায় সবজির চাহিদাও মিটাবেন। এই উদ্দেশ্য নিয়েই পেঁপে বাগানের যাত্রা শুরু করেন এই শিক্ষক। তিনি প্রতি বছর পেঁপে উৎপাদন করে লাখ টাকা আয় করেন।
এ বিষয়ে মো. হেলাল মাষ্টার বলেন, স্যোসাল মিডিয়া থেকে দেখে আমি প্রথমে আমার বাসা বাড়ির আশপাশে পরীক্ষামূলক ভাবে ১শ’পেঁপে চারা রোপন করি। পরে আমার নিজস্ব ১ একর জমিতে পেঁপে বাগান শুরু করি।
বাগানের জমি তৈরির ব্যাপারে তিনি বলেন, এক একর জমিতে ১হাত পরিমাণ গর্ত করে সে গর্তে জৈব সার শুকনা গোরব দিয়ে প্রায় ১ সপ্তাহ রেখে দেই। এক সপ্তাহ পরে পেঁপে চারা রোপন করি। গত ৬-৭ মাস আগে পেঁপে চারা রোপন করি বর্তমানে পেঁপে পাকতে শুরু করেছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে হেলাল বলেন,পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক ও ফলপ্রসু আবাদ, যে কেউ চাইলে এই চাষ করতে পারে। আমার পেঁপের ফলন ভাল হয়েছে। তাই আমি অনেক খুশি। খরচ বাদ দিয়ে এই এক একর জমিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা সমম্ভ। আসুন সবাই কৃষি কাজে উন্নত হই, দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে গতিশীল করি।
লংগদু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার কৃষির উপর অত্যন্ত গুরুত্বরোপ করেছেন। সে সুবাদে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। সম্প্রতি কৃষি বিভাগ বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির বীজ ও হাইব্রিড ধান কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছেন। লংগদু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সহায়তায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ অধিকার