বাংলাদেশে বিভিন্ন পেঁয়াজের জাতের মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি চাষ হয়। বর্তমান সময়ে আলু ও পেঁয়াজ রোপণে চাষি ভাইয়েরা ব্যস্ত। পেঁয়াজ রোপণে জমি তৈরি ও পরিমিত পরিমাণ সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জমি তৈরি ও চারা রোপণ:
মূল জমিতে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। চাষের আগে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পচা গোবর সার দিতে হয়। এ প্রজাতির পেঁয়াজে কুঁশি উৎপাদনের প্রবনতা বেশি থাকায় সাধারণ বাল্ব পেঁয়াজের তুলনায় রোপণ দূরত্ব বেশি দিতে হয়। এর চারা বা কুশি ২০ সেমি.x১৫ সেমি. অথবা ২০ সেমি.x২০ সেমি. দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করা হয়। চারা একটু গভীরে লাগানো ভালো।
সার প্রয়োগ:
পাতা সংগ্রহের কারণে পাতা পেঁয়াজে বেশি সারের প্রয়োজন হয়। জমির উর্বরতার ওপর ভিত্তি করে সারের পরিমাণ নিরূপণ করতে হয়। এ জাতের পেঁয়াজ চাষের জন্য হেক্টরপ্রতি প্রয়োজনীয় সারের পরিমাণ নিম্নরূপ-
সারের নাম পরিমাণ (কেজি/হেক্টর)
পচা গোবর ৫০০০-১০০০০
ইউরিয়া ২৫০-৩০০
টিএসপি ২৫০-৩০০
এমওপি ২০০-২৫০
জিপসাম ১০০-১২০
জমি চাষের আগে সম্পূর্ণ পচা গোবর সার এবং শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া সার সমানভাবে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। অবশিষ্ট দুই-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া সার সমান দুইভাগ করে চারা রোপণের ৩০ ও ৬০ দিন পর উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
সার প্রয়োগের পর প্রয়োজন হলে পানি সেচ দিতে হবে। তবে প্রতিবার পাতা সংগ্রহের পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা ভালো।
পেঁয়াজ রোপণে জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ মাত্রা শিরোনামে সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ এগ্রিকেয়ার ২৪