যে সকল মুরগির খামারিরা খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জরিত তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। আশা করি সকল মুরগির খামারি ভাইয়েরা অনেক উপকৃত হবেন।
শীতকালীন ব্যবস্থাপনা
পরিবেশের পরিবর্তনের প্রভাব সকল জীবের মত মুরগির স্বাভাবিক জীবন প্রবাহ ও শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মকে প্রভাবিত করে এবং এর সাথে সাথে তাদের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
শীতকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রডাকশন কমে যায়,হ্যাচাবিলিটি,ফার্টিলিটি কমে যায়,পানি কম খায়,ব্রয়লারের এফ সি আর বেড়ে যায়,ওজন কমে যায়।
শীতে তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট হয়ে যায়।মুরগি জন্য স্বাভাবিক হল ২১-২৪ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।তবে ১৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তেমন সমস্যা হয় না।
এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।ডিম কমে যায়,এন্টিবডি দ্রুত কমে যায়।
শীতকালের জন্য ফিডের আলাদা ফর্মুলা দরকার।
এই সময় লিটারের উচ্চতা তুষ হলে২-৩ ইঞ্চি রাখতে হয় ,কাঠের গুড়া হলে ২ইঞ্চি।ডিপ লিটার হলে ৫-৬ ইঞ্চি রাখা উচিত।
আর্দ্রতা কম থাকায় লিটারে ধূলাবালি বেশি হয় ফলে ঠান্ডা বেশি লাগে।
এমোনিয়া গ্যাস বেশি হবার কারণে রোগ বেশি হয়।
ব্রুডিং:
বাচ্চা মুরগির শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি থাকে তাই পরিবেশর তাপমাত্রা দ্বারা মুরগির বাচ্চার দৈহিক তাপমাত্রা শোষিত হয়. এর ফলে বাচ্চার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাচ্চার মৃত্যু সহ নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়।
১২-২৪ ঘন্টা মুরগির জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল :
১. ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা
২.হাউজ( বাসস্থান)
৩. ভেন্টিলেশন
৪. লিটার
৫. ফিডিং( খাবার)
৬. পানি
৭. হেলথ (স্বাস্থ্য)ব্যবস্থাপনা
৮. রোগ
১.ব্রুডিং:
ব্রুডিং ভাল হলে ৮০% সফলতা অর্জিত হয়.শীতকালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করে।
বাচ্চা আসার পূর্বে ব্রুডার জ্বালিয়ে তাপমাত্রা কাংখিত মাত্রায় রাখতে হবে.
বাচ্চার দৈহিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য লিটারের তাপমাত্রা নির্ভর করে।
বাচ্চা আসার ২৪ ঘন্টা আগে ব্রুডার জ্বালিয়ে রাখতে হবে যাতে ব্রুডারের কিনারায়,লিটার থেকে ২ ইঞ্চি উপরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট হয়।
ব্রুডার গার্ড
১৮ ইঞ্চি উচ্চতা হবে।এটি বাচ্চাকে ঠান্ডা ও পাইলিং থেকে রক্ষা করে।এটি তাপের উৎস হিসেব কাজ করে।
গ্যাস ব্রুডার হলো শীতে ব্রুডিং এর জন্য ভাল,এতে ইউনিফর্ম তাপ হয়,লিটার হতে ৫-৬ ইঞ্চি উচ্চতায় ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট থাকতে হবে।
১ম সপ্তাহে তাপ ৯৫’ ফারেনহাইট
২য় সপ্তাহে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৩য় ৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৪থ ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৫ম ৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট
৬ষ্ঠ ৭০ডিগ্রি ফারেনহাইট
আপেক্ষিক আর্দ্রতা
১-৭ দিন ৪০ -৫০%
৭-১৪ দিন বয়সে ৫০-৬০%
১৪ দিনের পর ৬০-৭০%
লেয়ারের ব্রুডিং তাপমাত্রা বেশি লাগে ( ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি দিতে হয়) আর আর্দ্রতাও ১০% বেশি লাগে তাছাড়া ব্রুডিং ৭ দিন বেশি করতে হয়।
নরমাল বডি তাপমাত্রা ও লেয়ারের বেশি ১০৫ আর ব্রয়লারের ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
যদি আপেক্ষিক আর্দ্রতা উল্লেখিত পরিমানের চেয়ে কম বা বেশি হয় তাহলে ঘরের তাপমাত্রা ১’ ডিগ্রি কম বা বেশি হবে.
বায়ু চলাচল বা ভেন্টিলেশনের কারণে তাপ মুরগির ঘরের সব জায়গায় সমভাবে ছড়াতে পারে এবং বাতাসের কোয়ালিটি ভাল থাকে.
অক্সিজেন ১৯.৭%
কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব ৪০০ পিপি এম
কার্বনমনোক্সইড এবং এমোনিয়া ১০ পিপি এম এর কম।
ধূলাবালি ৩.৪ মি গ্রাম প্রতি ঘনমিটারে।
প্রথম ২৪ ঘন্টায় বাচ্চা তার ওজনের ২০-২৫% খাবার এবং ৪০-৫০% পানি খাবে.
৭ দিনে মৃত্যহার ১% বেশি হবেনা।
ব্রুডিং ভাল হলে (১৪দিন) ইউনিফর্মিটি ভাল হয়।
৭দিনে ওজন হবে ১ম দিনের ৪গুণ আর ৭দিনে যা হবে ৩০দিনে তার ১০গুণ।
২. বাসস্থান:
ঘর টা পূর্ব- পশ্চিম হবে যাতে সূর্যের আলো অধিক সময় ধরে তাপ দিতে পারে.
শীতকালে লেয়ারের ডিমপাড়া স্বাভাবিক রাখার জন্য পূর্ব- পশ্চিম হল আরামদায়ক বাসস্থান.
বাহিরের ঠান্ডা বাতাস যাতে মুরগির সেডে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য পর্দা,দরজা,ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য ছিদ্র ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
ঠান্ডাজনিত ধকলে মুরগির ডিম কমে যায় এবং মুরগি মারা যায় ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়.
ডিম পাড়া মুরগির ঘরের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০-৭০%,তাপমাত্রা ৬৫-৭০’ রাখা উচিত।
উচ্চ তাপমাত্রার সাথে উচ্চ আর্দ্রতা মুরগির জন্য ক্ষতিকর এর ফলে লিটার ভেজা ভেজা,ময়লা পালক,নোংরা ডিম,বিভিন্ন রোগ এবং এমোনিয়া গ্যাস তৈরি হয়.
ছাদে যাতে কোন ছিদ্র না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে তাতে কুয়াশা পড়ে ঠান্ডা লাগতে পারে।
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে বলে লিটারের আর্দ্রতা কমে শুষ্ক ধুলিময় হয় এবং এর ফলে চোখে সমস্যা,শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা,পালকের বৃদ্ধি কম,পালক ঠোকরানো ও ক্যানাবলিজম হয়.
লিটারের আর্দ্রতা সঠিক রাখার জন্য মাঝে মাঝে হাল্কাভাবে পানি স্প্রে করতে হবে.
মুরগি একটি ছোট পাখি কিন্তু এর মেটাবলিজম দ্রুত হয়,এ কারণে অন্য কোন বড় প্রাণীর তুলনায় মুরগির পার
ইউনিট অফ বডি সাইজ এর জন্য বেশি বাতাস দরকার.
আলোর তীব্রতা প্রতি বর্গফুট জায়গার জন্য ০.২৫ ওয়াট.
ঘরের তাপমাত্রা যাতে ১৮-২৮ ডিগ্রি এর মধ্যে থাকে।
শীতকালে দিনের আলো কমে যায় তাই রাতে কৃত্রিম আলো দিয়ে ১৫-১৬ ঘন্টা করা দরকার.
সকালে সূর্য উঠার পর পর্দা উঠিয়ে দিতে হবে আবার বিকালে বা সন্ধ্যায় পর্দা দিয়ে দিতে হবে।
৩. ভেন্টিলেশন:
নিঃশ্বাস ও পায়খানার মাধ্যমে আর্দ্রতা সেডে বেড়ে যায় ফলে শ্বাসনালীর বিভিন্ন রোগ হয়।
মুরগির ঘরে বায়ু চলাচলা করলে আর্দ্রতা ঠিক থাকে এবং বিষাক্ত গ্যাস বের হয়ে ভাল পরিবেশ নিশ্চিত করে.
শীতকালে মুরগির ঘরে ভেন্টিলেশনের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূরণ কারণ এ সময় মুরগির ঘরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ভেন্টিলেশন দুটি একসাথে ভাবতে হবে।
অতিরিক্ত বায়ু চলাচলের কারণে যাতে তাপমাত্রা কমে না যায় আবার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে যাতে ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে ঘরে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি না হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
সেডের চারদিকে চটের মোটা পর্দা লাগাতে হবে এতে ভিতরে গরম থাকবে,বেশি শীত হলে কাপড়ের আরো একটি পর্দা বাহিরে দেয়া যায়.তবে পর্দা এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে পর্দা নিচ হতে উপরে তুলা যায়।
লিটারে যাতে গ্যাস না হয় প্রতি ১হাজার বর্গফুট জায়গার জন্য ১ কেজি হারে এমোনিল পাউডার লিটারে দেয়া যায়.
আলো মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি,যৌন পরিপক্কতা আনয়ন,ডিম উৎপাদন ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে।
যারা কর্মচারী দিয়ে মুরগি পালন করে সেক্ষেত্রে কর্মচারীরা লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়ে,রাতে শীত বেশি পড়ে গেলেও উঠে পর্দা ঠিক করে না বা শীত কমে গেলেও সেই অনুযায়ী ঠিক করে না।যারা নিজেরা মুরগি পালন করে তাদের উচিত রাতে খেয়াল রাখা কখন শীত বেশি পড়ে আবার কখন কম পড়ে।ভিতরে গ্যাস হল কিনা তা দেখতে হবে।নির্ধারিত করে কিছু যাবে না।অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. লিটার:
লিটারে সব জায়গায় সমান তাপমাত্রা থাকতে হবে,লিটার ফ্লোর এবং মুরগির মাঝে ইনসোলেটর হিসেবে কাজ করে,আর্দ্রতা শোষণ করে লিটার শুকনা রাখে।
শীতকালে লিটার ২-৩ ইঞ্চি করে দেয়া উচিত.গরমকালে ১-২ ইঞ্চি।
Drylit and Yuka ব্যবহার করা যায় যাতে এমোনিয়া কম তৈরি হয়,
ডাইলিট ১০০০ বর্গফুটের জন্য ২৫০গ্রাম
ইউকা ১০ লিটার পানিতে ১গ্রাম দিয়ে খাওয়ানো যায় অথবা ৮০এম এল ১০০০ বর্গফুট লিটারে লিটারে স্প্রে করা।
একোয়াপিউরঃ(সোডিয়াম এলোমিনো সিলিকেট) ১২-১৫দিন বয়সের আগে ২কেজি/১০০০ বর্গফুট জায়গায় লিটারে ৭দিন
২০-২২দিন পর ৩কেজি/১০০০ বর্গ ফুট লিটারে।
PLT(ACI) ২ সপ্তাহ থেকে দেয়া যায়.১০০০মুরগির জন্য ৫কেজি .১বার দিলেই হবে তবে ৩-৪দিন পর পর লিটার উল্টিয়ে দিতে হবে।লিটারে ছিটিয়ে দিতে হয়।
৫. খাবার:
খাবারের ২টি কাজ
বডির তাপমাত্রা মেইন্ট্রেইন এবং নরমাল ফিজিওলজি ঠিক রাখা
হাড়,মাংস,পালক,ডিম প্রডাকশনে কাজে লাগে।
এই সময় পানি কম খায় তাই পানির পাত্র বাড়িয়ে দিতে হবে।
গরমে ব্রয়লারে এনার্জি যদি ৩১০০ কিলোক্যালোরী হয় তাহলে শীতে হবে ৩৩০০-৩৪০০।
শীতকালে কম তাপমাত্রায় এনার্জি বেশি লাগে তাই ফ্যাট বা তেল বাড়াতে হবে।
তবে ভুট্রা এবং গম বেশি তাপ উৎপাদন করে তাই ভুট্রা এবং গম বেশি ভাল ফলে বেশি ক্যালরি তৈরি হয় যা মুরগির শরীর গরম রাখে।
শীতকালে মুরগি বেশি খায় কারণ তার শরীর গরম রাখার জন্য বেশি ক্যালরির দরকার।
বেশি খাবার খেলে খরচ বেড়ে যায় তাই ক্যালরি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মানে ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া শীতে অক্সিজেন বেশি লাগে.আমিষ বেশি দিলে পানি বেশি খাবে ফলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে লিটার ভিজে যাবে এবং এমোনিয়া গ্যাস তৈরি হবে।
শীতকালে ডিম উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে ডিম পাড়া মুরগির জন্য স্পেশালাইড রেশন (খাবার) দিতে হবে।
২১ডিগ্রি তাপমাত্রায় যদি ৩৪০কিলোক্যালরি প্রয়োজন হয়,তাহলে তাপমাত্রা ৩ডিগ্রি সেন্টিগেট কমে গেলে খাদ্যে অতিরিক্ত ১৫ কিলোক্যালরি যোগ করতে হবে।তাই ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ক্যালরি প্রয়োজন ৩৪০+১৫ঃ৩৫৫।
প্রডাকশন মুরগির জন্য বেশি প্রয়োজন কারণ বডি মেইন্টেইনের পাশাপাশি প্রডাকশন ঠিক রাখতে হয়।
শীতে খাবার কম গেলে খাবারে ভিটামিন মিনারেল বাড়িয়ে দিতে হবে।
৬. পানি:
পানির পাত্র বাড়াতে হয় কারণ মুরগি ঠান্ডায় কম খেতে চায়.পারলে গরম পানি দেয়া যেতে পারে.
খাবারের দিগুণ পানি খাওয়া উচিত,ডিম পাড়া মুরগির প্রায় ২৫০ এমএল পানি খাওয়া উচিত.ডিমে প্রায় ৭০-৭৫% পানি থাকে.পানি ও খাবারের ঘাটতি হলে ডিম পাড়া কমে যাবে,খোসার গুনাগুণ ভালো হবে না,রোগ প্রতিরোধ কমে যায়.
পানিতে বিকালে এ ডিই৩ সপ্তাহে ২দিন দেয়া উচিত। খাবার কম খেলে ক্যালসিয়াম ,ফসফরাসের,এনজাইম এর ঘাটতি হয়ে খোসা পাতলা হতে পারে।
ভিটামিন সি ও ই সপ্তাহে ২-৩দিন দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল হয়।
অল্প পানিতে মেডিসিন,টিকা দিতে হবে এবং ৩০-৬০মিনিট পানি অফ করে তারপর দিতে হবে যাতে মেডিসিনের পানি অপচয় না হয়।
শীতকালে ই-কলাই বেশি হয় তাই পানিতে ক্লোরিন দেয়া যায়।
৭. রোগ:
লিটার ভিজে গেলে ব্যাক্টেরিয়াল ফারমেন্টেশনের মাধ্যমে এমোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয় ফলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে,ক্ষত হতে পারে,নখ দিয়ে চোখ চুলকাতে পারে।
চোখ বন্ধ করে রাখে।
শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফলে রানিক্ষেত,কলিব্যাসিলোসিস,মাইকোপ্লাজমোসিস ও কক্সিডিওসিস বেশি হয়।
তাছাড়া মাইকোপ্লাজমা,কলেরা,পক্স, ফাউল টাইফয়েড,এ আই,রানিক্ষেত,গাম্বোরু,পেঠে পানিজমা এবং নিউমোনিয়া এই রোগ গুলি শীতকালে বেশি হয়।
৮. হেলথ ব্যবস্থাপনা:
এই সময় ভিটামিন ই,সি,এ ডি ই,জিংক দেয়া ভাল এবং এতে মুরগির ইমোনিটি বেড়ে যাবে।
বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা এবং মুরগিকে ঠান্ডার ধকল থেকে রক্ষা করা.৪৫-৫০ দিন পর পর রানিক্ষেতের টিকা দেয়া,সুযোগ থাকলে টাইটার টেস্ট করে টিকা দেয়া।
পালক বদলানো মোল্টিং শীতকালে বেশি ঘটে যাতে ডিম কমে যায় কিন্তু খাবার বেশি খায় কারণ পালক না থাকলে শীত বেশি লাগে যার মোকাবেলা করার জন্য মুরগি বেশি খায় ফলে খামারির লস হয়।কিন্তু ১ম দিকে যখন পালক পড়া শুরু করে তখন কম খায়।
কারণ হল শীতে দিনের আলো কমে যায় এবং ধকল পড়ে.
এমোনিয়ার তীব্রতা কিভাবে কমানো যায়
লিটারের পি এইচ ৭ এর নিচে রাখা
লিটারের আর্দ্রতা(২১-২৫% ঠিক রাখার জন্য ১০% এলাম ব্যবহার করা যায় যাতে ব্যাক্টেরিয়াল ফারমেন্টেশন কম হয়।
এমোনিয়া গ্যাসের উপস্থিতি কিভাবে বুঝা যায়
১০-১৫ পি পিএম হলে ঝাজালো কটু গন্ধ হয়।
২৫-৩৫্পিপিএম হলে চোখে ক্ষত হবে।
৫০ পিপিএম হলে চোখে পানি ঝরবে ও ফুলে যাবে এবং ব্যথা হবে।
৭৫ পিপিএম হলে মাথা নাড়াচাড়া করবে।
১০০ পিপিএম হলে মারা যাবে।
আমাদের দেশে মাস অনুযায়ী আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাঃ
জানুয়ারী
মাস তাপমাত্রা সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ আর্দ্রতা সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ
জানুয়ারী ১০ ২৬ ৬৮ ৮০
ফেব্রুয়ারী ১১ ২৮ ৫৬ ৭৭
মার্চ ১৫ ৩৫ ৪৫ ৭১
এপ্রিল ১৯ ৩৬ ৬৮ ৭৮
মে ২১ ৩৬ ৭১ ৮০
জুন ২৫ ৩৫ ৭৮ ৮৭
জুলাই ২৪ ৩২ ৮৪ ৯১
আগস্ট ২৪ ৩৫ ৮২ ৮৮
সেপ্টেম্বর ২৩ ৩১ ৮৩ ৮৯
অক্টোবর ২১ ৩১ ৭৯ ৮৮
নভেম্বর ১৭ ৩০ ৭২ ৮৬
ডিসেম্বর ১২ ২৬ ৬৮ ৭০
তথ্যসূত্রঃ ফারমস এন্ড ফারমারস