সহজ ৬টি বৈজ্ঞানিক উপায়ে চিনতে পারবেন দুগ্ধবতী গাভী

সকল খামারীই দুগ্ধ উৎপাদনকারী ভালো জাতের গাভী দিয়ে ডেইরী খামার শুরু করতে চান। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে দুগ্ধবতী গাভী না চেনায় অনেক খামারী লোকসানের সম্মুখীন হন। এগ্রিভিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য আজ ভালো জাতের দুগ্ধজাত গাভী চেনার গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি উপায় নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট ডেইরী অ্যান্ড পোল্ট্রি কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ডা: মো. সফিকুর রহমান শশী।

 

 

 

 

১। গাভীর শরীরের পেছনের দিকের Hip Bone সবসময় Pin Bone থেকে উপরে থাকবে। যদি এমন না হয়, তাহলে সেই গাভী থেকে পর্যাপ্ত দুধ পাওয়া যাবে না। এছাড়া এ ধরণের গাভীর বাচ্চা হওয়ার সময় নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে।

 

 

 

 

২। গাভীর ওলানের বাটগুলো সমান হতে হবে। তাহলে বেশি পরিমাণ দুধ পাওয়া যাবে। যদি সামনের দুটো বাট বড় হয়, তাহলে আরও বেশি ভালো। যদিও বাংলাদেশে এ ধরণের গাভী খুব কম পাওয়া যায়।

 

 

 

 

৩। গাভীর পায়ের ক্ষুর যদি একটা আরেকটা থেকে সামনের দিকে এগিয়ে থাকে, তাহলে সেই গাভী ডেইরী খামারের জন্য নির্বাচন করা যাবেনা। এসব গাভীর ম্যাস্টাইটিস বা ওলান প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেসব গাভীর ক্ষুর যত খাড়া থাকবে, সেই গাভী তত ভালো।

 

 

 

 

৪। গাভীর ওলানের বাট বাইরের দিকে বাকানো থাকলে, ঐ গাভী নির্বাচন করা যাবেনা। বাটগুলো ভেতরের দিকে বাকানো থাকবে এবং সোজাসুজি নিচের দিকে থাকবে।

 

 

 

 

৫। গাভী যখন দাড়াবে, তখন পায়ের মাঝখানে শিকলের মতো (ছবি) বাকানো থাকবে। যদি পায়ের মাঝখানে সোজা হয়, তাহলে সেই গাভী ভালো হবেনা।

 

 

 

 

৬। ওলানের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দুগ্ধ শিরা (মিল্ক ভেইন) ওলানের সাথে কিভাবে যুক্ত হচ্ছে। যদি সোজাসুজি যুক্ত হয়, তাহলে সেই গাভী ভালো। কিন্তু শিরা যদি বাকা হয়ে ওলানের সাথে যু্ক্ত হয়, তাহলে ঐ গাভী থেকে ভালো দুধ পাওয়া যাবেনা।

 

 

 

 

ডেইরী খামার শুরুর পূর্বে গাভী ক্রয়ের সময় এসব বিষয় নজরে রাখতে হবে। অন্যথায় খামারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, দালাল বা মধ্যস্থ কোনো ব্যক্তির কথা শুনে প্রলুব্ধ না হয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে দুগ্ধবতী গাভীর ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো দেখে গাভী নির্বাচন করবেন।

তথ্যসূত্রঃ এগ্রি ভিউ