বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে কৃষি বিপ্লব। দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষি গবেষণা প্রযুক্তিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার দরুন প্রতিনিয়ত উদ্ভাবন করা হচ্ছে নতুন নতুন ফসলের জাত।
এরই মধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা আমের বেশ কয়েকটি আমের জাত উদ্ভাবন করেছন। যার মধ্যে রঙ্গিন জাতের একটি আম বারি-১৩ অন্যতম। বারি-১৩ একটি আঁশবিহীন রঙ্গিন জাতের জাম যা উচ্চ ফলনশীল। এছাড়াও এই জাতের আম গড় ওজন ২২০ গ্রামের হয়ে থাকে। ফলে দেশের প্রান্তিক আম চাষিদের কাছে এই আমটি দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে (আম গবেষণা কেন্দ্র) ১৫ বছরের গবেষণার মধ্যে দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখে গবেষক দল। উক্ত আম উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দিন । সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আমটি অবমুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে।
২০০৫ সালে বারি আম-৩, অর্থাৎ আম্রপালি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহ করা রঙিন আম পালমারের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে আমটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আম্রপালিকে মা ও পালমারকে বাবা ধরে সংকরায়ণ করে Hy-059 লাইন সৃষ্টি করা হয়।
নতুন এ জাতের আম লম্বাটে ও মাঝারি আকৃতির হয়, গড় ওজন ২২০ গ্রাম, সবচেয়ে বড় বিষয় এটি নাবী জাতের , উচ্চ ফলনশীল ও নিয়মিত ফল দেয়, শেষ জুলাই থেকে আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ এ আম সংগ্রহ করা যায়, পরিপক্ক সংগৃহিত আম সাধারণ তাপমাত্রায় ৮দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এ আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ শতকরা ৭৪.৬৭ ভাগ, মিষ্টতা শতকরা ২১ ভাগ।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার