“আরকা কিরণ” এফ ১ জাতের পেয়ারা চাষ

ভারতীয় উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা বিকশিত “আরকা কিরণ” এফ ১ হাইব্রিড জাতের পেয়ারা, অনেক কৃষককেই চাষে অনুপ্রাণিত করেছে। বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ এই জাতের পেয়ারার অন্তরভাগ প্রগাঢ় লাল বর্ণের এবং এতে উচ্চ মাত্রায় লাইকোপিন রয়েছে (৭.১৪ মিলিগ্রাম / ১০০ গ্রাম), যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাঝারি আকারের বৃত্তাকার ফলন হয় এই জাতের পেয়ারার।

 

অন্ধ্র প্রদেশের প্রকাশম জেলার ইসুকা দারসি গ্রামের শ্রী কুমার নামক এক ব্যক্তি বি.টেক পড়া ছেড়ে ফল চাষের প্রতি আগ্রহী হন। এ বিষয়ে এবং বিভিন্ন জাতের ফল চাষের বিষয়ে নিজেকে প্রশিক্ষিত করার জন্য জ্ঞান আহরণের উদ্দেশ্যে বেঙ্গালু্রুর আইসিএআর-ইন্ডিয়ান হর্টিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটস-এ তিনি যোগাযোগ করেন। তিনি প্রশান্তি নগর (বিজয়ওয়াদা, অন্ধ্র প্রদেশ)-এর শ্রী কৃষ্ণিয়া (ICAR-IIHR, লাইসেন্স প্রাপ্ত), ব্লুম ইরিগেশন সিস্টেম, প্রাইভেট লিমিটেড – থেকে রোপণ সামগ্রী কিনেছিলেন।

 

আল্ট্রা হাই ডেনসিটি মিডো অর্চার্ড পদ্ধতিতে তিনি পেয়ারা চাষ করেছেন। ICAR-IIHR এর পরামর্শ অনুযায়ী, শ্রী কুমার তার কৃষিক্ষেত্রে, পঞ্চকাব্য, দশ কাব্য, গোবর সার, জীবমুর্ত এবং অগ্নিস্ত্র মতো বায়োস্টিমুলেট প্রস্তুত করেন এবং কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণের ও গাছের পুষ্টি-বৃদ্ধিতে তা প্রয়োগ করেন।

 

এর মাধ্যমে, তিনি পেয়ারাতে ভাল ফলন পেয়েছেন, প্রথম বছরে ৭ টন এবং দ্বিতীয় বছরে ২০ টন, (প্রত্যাশিত ফলন)। তিনি তার পণ্য ৩৫,০০০ টাকা/টন বিক্রি করেছেন। এর পাশাপাশি বাজারে লিটার প্রতি ৬০ টাকায় ৩০০ লিটার ফলের রস বিক্রয় করেছেন।

 

আরকা কিরণ জাতের চাষ করে এর ফলনে খুব খুশী এই কৃষক। এই কৃষক প্রথম বছরে ২.৪৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছেন এবং প্রত্যাশা করছেন একর প্রতি ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে দ্বিতীয় বছরে ৭ লক্ষ টাকার মুনাফা অর্জন করবেন। ফল বিক্রি ছাড়াও এই কৃষক পেয়ারার জুস বিক্রয় করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করছেন।

তথ্যসূত্রঃ কৃষি জাগরণ