ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের কালো তরমুজ চাষে সফলতা, মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে কৃষক বাবু এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন। যে সময়ে কেউ তরমুজের কথা ভাবেননি, তখনই যেন স্বর্গ থেকে তরমুজ এসেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া বটতলা দুলালপাড়া গ্রামে মাচায় অসময়ে কালো তরমুজ চাষ চমক দেখিয়েছেন কৃষক গিয়াসউদ্দিন বাবু।
২৫ শতক জমিতে ব্ল্যাক বেরি জাতের এই তরমুজের চাষ করেন বাবু। অসময়ে উৎপাদন হওয়ায় এ তরমুজ বিক্রি করে ভাল দামও পাচ্ছেন তিনি। ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে এ পর্যন্ত গিয়াসউদ্দিন বাবু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
সফল এ কৃষককে উৎসাহ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর ) সকালে তার তরমুজের মাঠ পরিদর্শন করেছেন হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মারুফ হোসেন।
তরমুজ চাষি গিয়াসউদ্দিন বাবু জানান, অসময়ে চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। খরচের থেকে যে লাভ হয়েছে তাতে বেজায় খুশি তিনি। লাভের আশায় ২৫ শতক জমিতে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ব্ল্যাক বেরি জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন তিনি। অক্টোবরের মধ্যেই খাবার উপযোগী হয় এ তরমুজ।
হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মারুফ হোসেন জানান, ব্ল্যাক বেরি জাতের তরমুজ ২ মাসের মাথায় খাবার উপযোগী হয়ে যায়। অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তিনি আগাম জাতের এ তরমুজ চাষে উপজেলার অন্যান্য কৃষকদেরও আহ্বান জানান।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, “এটি ব্ল্যাক বক্স জাতের তরমুজ। এ ফসলটি রোপণ থেকে উত্তোলন পর্যন্ত খুবই কষ্টসাধ্য শ্রম ও সার্বক্ষণিক সতর্কতার মধ্যে করতে হয়। কৃষক মারুফ হোসেন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অন্যান্য কৃষকরাও তাকে অনুসরণ করতে পারেন।”
তথ্যসূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন