একটি ডেইরী ফার্মের দৈনিক ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী যা অবশ্যই জানা দরকার

বাংলাদেশে ডেইরী শিল্পের বিকাশ খুব দ্রুত ঘটছে। তরুণেরা এই শিল্পের দিকে বেশী ঝুঁকছেন। কারণ এতে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। অনেকে এই শিল্পে যেমন লাভের মুখ দেখেন তেমনি অনেকে আবার সঠিক জ্ঞানের অভাবে ক্ষতির সম্মুখীনও হন। ডেইরী শিল্পে লাভবান হতে হলে ডেইরী ফার্ম ব্যবস্থাপনায় সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরী। অনেক খামারী জানেন না যে একটি ডেইরী ফার্ম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দৈনিক কী কী কর্মসূচী পালন করতে হয়। অনেক খামারী এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তাদের জন্যই মূলত এই লেখাটি।

 

একটি ডেইরী ফার্ম পরিচালনায় প্রতিদিনকার কর্মসূচী তুলে ধরা হলোঃ

 

ভোর ৫ টাঃ গরুর ঘরের ম্যাঞ্জার এবং গোবর পরিষ্কার করতে হবে। গরুর গায়ে লেগে থাকা গোবর পরিষ্কার করতে হবে।
পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনকার নির্ধারিত দানাদার খাবারের অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।

 

ভোর ৬ টা– সকাল ৮ টাঃ ভোর ৬ টায় দুধ দোহন শুরু করতে হবে এবং সকাল ৮ টার মধ্যে দুধ দোহন শেষ করতে হবে।
দুধ দোহন শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনকার নির্ধারিত খড়ের অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।

 

সকাল ১০ টাঃ প্রতিদিনকার নির্ধারিত সবুজ ঘাসের অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।

 

দুপুর ১২ টাঃ গরুকে গোসল করাতে হবে। গরুকে গোসল করানো অনেকটা সিজনের উপর নির্ভর করে। বিদেশী হাইব্রীড গাভীর ক্ষেত্রে সাধারণত শীতকালে ১-২ বার এবং গ্রীষ্মকালে ৩-৪ বার গোসল করাতে হবে।

 

দুপুর ২ টাঃ গরুর ঘরের ম্যাঞ্জার এবং গোবর পরিষ্কার করতে হবে। গরুর গায়ে লেগে থাকা গোবর পরিষ্কার করতে হবে।
পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনকার নির্ধারিত দানাদার খাবারের বাকি অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।
এরপর প্রতিদিনকার নির্ধারিত সবুজ ঘাসের বাকি অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।

 

বিকাল ৪ টা– বিকাল ৫টাঃ বিকাল ৪ টায় দুধ দোহন শুরু করতে হবে এবং বিকাল ৫ টার মধ্যে দুধ দোহন শেষ করতে হবে।
দুধ দোহন শেষ হয়ে গেলে প্রতিদিনকার নির্ধারিত খড়ের বাকি অর্ধেক সরবরাহ করতে হবে।

 

উপরের কর্মসূচীটি একটি দিক নির্দেশনা মাত্র। খামারী তার সুবিধা অনুযায়ী দিক নির্দেশনাটি ঠিক রেখে সময় আগ-পিছ করতে পারবেন অথবা সামান্য পরিবর্তন, পরিমার্জন বা সংশোধন করতে পারবেন। তবে দিক নির্দেশনাটি অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে।

 

লেখকঃ ডাঃ আবু নাছের (ডিভিএম, বশেমুরকৃবি)

তথ্যসূত্রঃ এগ্রি ভিউ